চিটাগং শপিং কমপ্লেক্সে নির্মাণে ‘ত্রুটি’ খুঁজতে কমিটি

চিটাগং শপিং কমপ্লেক্সের বর্ধিত অংশের নির্মাণ কাজে কোনো ‘ত্রুটি’ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2020, 04:51 PM
Updated : 10 Sept 2020, 04:51 PM

কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত মার্কেটটির ভবন সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার টাইগার পাসের অস্থায়ী নগর ভবনে চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্সের বর্ধিত অংশের কাজ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শামীম কর্পোরেশনের মালিক এবং এ কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলীদের সঙ্গে বৈঠকে এনির্দেশনা দেন প্রশাসক।

সিসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একজন প্রতিনিধি, সিটি করপোরেশনের একজন প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের প্রতিনিধি নিয়ে চার সদস্যদের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

“দ্রুততম সময়ে কমিটি প্রতিবেদন দেবে। সেসময় পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।”

তিনি বলেন, নির্মাণ কাজের কোনো ত্রুটি আছে কি না কিংবা বিদ্যমান ভবনের সম্প্রসারণের ফলে পরবর্তীতে কোনো বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা দ্রুত এ বিষয়গুলো যাছাই করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন প্রশাসক।

নব্বইয়ের দশকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) জমিতে নির্মিত ভবনটি লিজ নিয়ে চিটাগায় শপিং কমপ্লেক্স হিসেবে সেখানে ব্যবসায়ীদের দোকান বরাদ্দ দেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)। বিপণি বিতানটিতে মোট দোকান ছিল ৩৮০টি।

সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের মেয়াদে ২০১৮ সালে চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্সের ৩৫ হাজার বর্গফুট ‘খালি জায়গা’ বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দেয় সিসিসি।

বিপণি কেন্দ্রের ভিতরে আলো বাতাস চলাচলের জন্য রাখা উন্মুক্ত স্থান, গাড়ি রাখার জায়গা, উন্মুক্ত স্থান এবং আগের দ্বিতল ভবনের তৃতীয় তলায় ‘সৌন্দর্য বর্ধন ও আধুনিকায়নের’ জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এরমধ্যে খালি জায়গায় স্টিলের পাত দিয়ে নির্মিতব্য চার তলা সমান অবকাঠামোর মধ্যে দুই তলা পর্যন্ত কাঠামো নির্মাণ শেষ।

আর মূল ভবনের তৃতীয় তলাতেও সম্প্রসারিত অংশের নির্মাণ কাজ চলছে। এসব বর্ধিত ভবন ও অংশে আরো ৩৫০টি দোকান নির্মিত হবে।

চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীরা সম্প্রতি অপরিকল্পিত ভাবে সিডিএ’র অনুমোদন ছাড়া মার্কেটে স্থাপনা নির্মাণ, আলো বাতাস চলাচল বন্ধ করা ও গাড়ি রাখার স্থানে কাঠামো নির্মাণ নিয়ে আপত্তি তোলেন।

এরপর প্রশাসক বিপনি কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন।

ভবন সম্প্রসারণের আগে সিডিএ’র অনুমোদন নেয়া হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে সিসিসি’র প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম বলেন, এক প্রকার অনুমোদন ছাড়াই কাজ শুরু হয়েছিল।

বৃহস্পতিবারের বৈঠকে প্রশাসক সুজন বিপনি কেন্দ্রের ভিতর আলো-বাতাস চলাচল, পার্কিং প্লেস ও অভ্যন্তরীন প্রশস্ত চলাচল ব্যবস্থাসহ আগের মতন ক্রেতা-বিক্রেতা বান্ধব পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেন।

এছাড়া শপিং কমপ্লেক্সের নিচতলায় বিদ্যমান ভবনের দোকান মালিকরা মালামাল রেখে চলাচলের পথ সংকুচিত রাখায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সহযোগিতায় দায়ীদের সবাইকে জরিমানা করা এবং প্রয়োজনে ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের জন্য প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসক সুজন।

পাশাপাশি নির্মাণ কাজের জন্য টিন দিয়ে ঘিরে রাখা অংশ উম্মুক্ত করে মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।