শনিবার নদীর সাত্তার ঘাট থেকে নয়াহাট পর্যন্ত চার কিলোমিটার অংশে অভিযান চালিয়ে এসব নৌকা জব্দ করা হয়।
এসময় এক নৌকার মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি এক হাজার মিটার জালও জব্দ করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মহামারীর সুযোগ নিয়ে বালু উত্তোলনকারীরা হালদায় নেমে পড়ে।
অভিযানে ইঞ্জিন খুলে নিয়ে নৌকাগুলো হালদার বিভিন্ন খালে ডুবিয়ে দেয়া হয়।
এসময়ে মেখল এলাকার বাসিন্দা নৌকার মালিক মো. জাফরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শনিবার পর্যন্ত হালদায় পরিচালিত ১২৪টি অভিযানে মোট দুই লাখ ৪২ হাজার পাঁচশ মিটার জাল, বালু উত্তোলনকারী নয়টি ড্রেজার এবং ২৭টি নৌকা ধ্বংস করা হয়েছে।
২০১৭ ও ২০১৮ সালে ইঞ্জিনচালিত নৌযানের আঘাতে হালদায় বেশকিছু মা মাছ ও ডলফিনের মৃত্যু হয় বলে বিশেষজ্ঞরা জানান।
এরপর ২০১৮ সাল থেকে হালদা নদীতে আর কোনো বালুমহাল ইজারা দেয়া হয়নি। এরপরও স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে নদীর বিভিন্ন অংশ থেকে বালু তোলেন।