নওফেল যাওয়ার পর চমেকে মারামারি, একপক্ষের মামলা

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় একপক্ষ ‘হত্যার উদ্দেশ্যে’ হামলার অভিযোগ এনে অপরপক্ষের ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2020, 01:49 PM
Updated : 24 August 2020, 02:12 PM

মামলার আসামিদের মধ্যে হাসপাতালের ইন্টার্ন ডাক্তার, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা আছেন। তারা সবাই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।

মামলার বাদী চট্টগ্রাম মেডিকেলের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খোরশেদুল ইসলাম উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

রোববার সকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও স্থগিত সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী এই হাসপাতালে দুটি ন্যাজাল ক্যানুলা দিয়ে ফেরার সময় ওই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

মামলার বাদী খোরশেদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিতে হামলা, প্রাণনাশের হুমকি এবং মারধর করে আহত করার অভিযোগে ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন তিনি।

পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভুঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মেডিকেলের চতুর্থ বর্ষের একজন শিক্ষার্থী বাদী হয়ে অপরপক্ষের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।

“মামলায় হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি।”

মামলায়- সোহেল পারভেজ সুমন, হিমেল চাকমা, সায়েম তানভীর, ওয়াসিম সাজ্জাদ রানা, হাবিবুর রহমান, এম আউয়াল রাফি, ওসমান গণি, ফয়সাল আহমেদ, তাজুয়ার রহমান অয়ন, আরমান উল্লাহ চৌধুরী, নাভিদ তানভীর, শাহরিয়ার মো. রাহাতুল ইসলাম, আল আমিন ইসলাম শিমুল, শোয়েব আলী খান, ওয়াহিদ মুরাদ শাহীন ও মাহাদি বিন হাসিমকে আসামি করা হয়েছে।

এদের মধ্যে শেষ পাঁচজন চট্টগ্রাম মেডিকেলের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যরা সাবেক শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসক।

মামলায় বলা হয়েছে, রোববার বেলা ১১টার দিকে চমেক হাসপাতালের জিরো পয়েন্টে শুরুতে গালিগালাজ ও পরে হামলা করা হয়। এতে বাদী খোরশেদুল ইসলাম, ইমন সিকদার, অভিজিৎ দাশ, ফাহাদুল ইসলাম, হোজাইফা বিন কবির, কনক দেবনাথ ও সাজেদুল ইসলাম আহত হন।

পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলেও আসামিরা বাধা দেয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও রেজাউল করিম চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় দুটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা দিতে রোববার চট্টগ্রাম মেডিকেলে যান। তারা পরিচালকের কক্ষে প্রবেশের পর এই মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের নাছির অনুসারী নেতাদের কয়েকজন সেই কক্ষেও প্রবেশ করেন।

এরপর উপমন্ত্রী পরিচালকের কার্যালয় থেকে বের হয়ে চলে যাওয়ার সময় দুই পক্ষ স্লোগান দিতে থাকে। তখনই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় বলে জানান সেখানে উপস্থিত কয়েকজন।

সে সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে উপস্থিত পুলিশের কয়েকজন সদস্যও সামান্য আহত হন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ওই কমিটিতে শিক্ষা উপমন্ত্রীর পক্ষের কেউ না থাকলেও তার বেশ কিছু অনুসারী আছে চমেক ছাত্রলীগে।