কোভিড-১৯: উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন হাসপাতালকর্মী, বেতন বকেয়াই থাকল

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের এক অস্থায়ী পরিচ্ছন্নতাকর্মী করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন, অন্তত চার মাসের বেতন বকেয়া থাকলেও যাকে ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়ে যেতে হচ্ছিল।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 June 2020, 01:16 PM
Updated : 1 June 2020, 01:16 PM

৬০ বছর বয়সী হাসিনা বেগম করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত ওই হাসপাতালের ‘ফ্লু কর্নারে’ কাজ করতেন।

সোমবার সকালে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, রোববার অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত হাসিনা বেগম হাসপাতালে সেবা দিয়ে গেছেন।

“হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ইসিইউতে নেওয়া হয়।”

করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

হাসিনার মত আরও ৩৫ জন কর্মী রয়েছেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে, যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে। তাদের সবারই কয়েক মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে।

একইভাবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া মনু প্রভা সেন বেশ কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আয়ার কাজ করছেন।

তিনি জানান, ঈদের আগে কিছু টাকা তাদের তাদের দেওয়া হয়েছিল। এখন চার মাসের বেতন আর ঈদ বোনাস পাওনা।

হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অর্থ ছাড় না করায় হাসিনাসহ ওই ৩৬ জনের বেতন বকেয়া পড়েছে।

“তারপরও তারা করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে হাসিনা বেগমের প্রাণই গেল।”

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথের অসুস্থতার কারণে ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্বে থাকা ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, “আউটসোর্সিংয়ের কর্মীদের বেতন বকেয়া থাকার বিষয়টি শুনেছি। তবে আমি তো মাত্র দায়িত্ব নিয়েছি। বেতন বকেয়া থাকে, আবার মন্ত্রণালয় দিলে তারা টাকাটা পেয়েও যায়।”