চট্টগ্রামে এক চিকিৎসককে প্রথম প্লাজমা থেরাপি

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগীর শরীরে প্লাজমা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2020, 05:04 PM
Updated : 26 May 2020, 05:04 PM

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক চিকিৎসকের শরীরে প্লাজমা দেওয়া হয় সেখানকার চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে।

করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া মোহাম্মদ তারেক নামে এক ব্যক্তির শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম মেডিকেলের  চিকিৎসক সমিরুল ইসলামের শরীরে দেওয়া হয়।

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষের তত্ত্বাবধানে একই হাসপাতালের অর্থোপেড্ক্সি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সমিরুল ইসলামের চিকিৎসা চলছে।

অনিরুদ্ধ ঘোষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকায় প্লাজমা নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের সাথে কথা বলে এ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ডা. সমিরুলকে ২৫০ এমএল প্লাজমা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক তানজিলা তাবিদের নেতৃত্বে এ প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়।

ডা. সমিরুল ইসলাম ১১দিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে গত ২১ মে তাকে  এই হাসপাতালের একটি কেবিনে আইসোলেশনে রাখা হয়। সেখানে তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালের দিকে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যায়।

স্বাচিপের করোনাভাইরাস মোকাবেলায় গঠিত কমিটির বিভাগীয় সমন্বয়ক ডা. মিনহাজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেক কষ্ট করে ডা. সমিরুলের রক্তের গ্রুপের সাথে মিল আছে এমন একজনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। তিনি করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার পর ৩৫তম দিন চলছে।

“ওই ব্যক্তি ও তার চিকিৎসক স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তাদের সহযোগিতায় ডা. সমিরুলের জন্য প্লাজমা যোগাড় করা গেছে। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে যারা বাড়ি ফিরেছেন, তাদের সবার রক্তের গ্রুপ সংরক্ষণ করা নেই। এজন্য খুঁজতে বেগ পেতে হয়েছে।”

ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই চিকিৎসককে অধিক চাপে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা যাওয়ার পর বোঝা যাবে ডা. সমিরুলের শরীরে এই প্লাজমা কতটুকু বা কীভাবে কাজ করছে।

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগীকে প্লাজমা দেয়ার ঘটনা এ প্রথম বলেও জানান তিনি।