এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপজেলার নানুপুর এলাকা থেকে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় তরুণদের ‘সিনিয়র-জুনিয়র’ দ্বন্দ্বের পরে সে বিষয়ে দুই পক্ষ ‘সমঝোতা’ করতে এলে শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ছুরিকাঘাতে নিহত নুরুল হক ওরফে সাইমন (১৯) নানুপুর ইউনিয়নের ঢালকাটা গ্রামের নুরুল আবছারের ছেলে। তিনি নানুপুর লায়লা কবির ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নানুপুর বাজার সংলগ্ন আবু সোবহান উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সিফাত ও মনসুর নামে দু’জন আহত হয়। তাদের মধ্যে মনসুর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সিফাত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
ফটিকছড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এলাকায় দুইটা ব্যাচ আছে, তাদের দুই পক্ষের কারও কারও মধ্যে ব্যক্তিগত আক্রোশ ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
“সেই বিরোধ মিটমাট করতে দুপুরে নানুপুর বাজারের কাছে আসে দুই পক্ষই। সেখানে ফেসবুকের স্ট্যাটাস নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে মারামারি শুরু হয়। ছুরিকাঘাতে নুরুল হক সাইমন গুরুতর আহত হয়। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
স্থানীয়রা জানিয়েছে, মাহুফুজুল আলম (২০) নামের এক যুবক সাইমনকে ছুরিকাঘাত করে। সাইমনকে বাঁচাতে এলে ছুরির আঘাতে অন্য দুজন আহত হয়।
এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, “মাহফুজুলসহ ছয়জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানাতে পারব।”