চট্টগ্রাম-৮ আসনে ভোট পড়েছে ৫%, দাবি সুফিয়ানের

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে প্রকৃতপক্ষে পাঁচ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন ওই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2020, 01:46 PM
Updated : 18 Jan 2020, 01:46 PM

ভোটের পাঁচদিন পর শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট পড়েছে ঘোষণা করলেও ভোট দিতে পেরেছেন মাত্র পাঁচ শতাংশ ভোটার। বাকি ভোট ইভিএমে জালিয়াতি করে দেখানো হয়েছে।”

জাসদনেতা মঈনুদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনে গত ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপনিবার্চনে আওয়ামী লীগের মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ৮৭ হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। আবু সুফিয়ান পান ১৭ হাজার ৯৩৫ ভোট।

এই উপনির্বাচনে ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে বলছে নির্বাচন কমিশন।

এক প্রশ্নে আবু সুফিয়ান বলেন, “মাত্র পাঁচ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু দেখানো হয়েছে ২২ শতাংশ। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সহায়তায় ইভিএম মেশিনের পাসওয়ার্ড নিয়ে প্রতি বুথে ৭০ থেকে ৮০টি ভোট জাল দিয়েছে। এভাবে ২২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছে বলে দেখানো হয়েছে।

“আওয়ামী  লীগ ও সরকারের প্রশাসন যন্ত্র সবাই মিলিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপি এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোট ডাকাতি করা হয়েছে। এটি হল মধ্যরাতের নির্বচনের মতো ভোট ডাকাতির আরেকটি কৌশল। ইভিএম পদ্ধতি হল প্রতারণার নতুন পদ্ধতি।  এতে ডিজিটাল ডাকাতির পর অভিযোগ করারও সুযোগ নেই। একজন ভোটার কোথায় ভোট দিলেন তা নিজের জানারও সুযোগ নেই।”

নির্বাচনের আগের রাতে বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও সরকার দলীয় নেতারা সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে কেন্দ্র দখল করেন বলেও অভিযোগ করেন আবু সুফিয়ান।

সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেও কেন্দ্র দখল করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পরেই পুলিশের উপস্থিতিতে নৌকার লোকজন ইভিএমের গোপন বুথে অবস্থান নেয়। ভোটাররা ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার পরই ব্যালট ইউনিটে নৌকার সমর্থকরা ভোট দিয়ে দেয়।

“ভোটগ্রহণের সময়ই অনিয়মের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানকে অভিযোগ করা হলেও তিনি নীরব থাকেন এবং অস্বীকার করেন।”

এভাবে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের পূর্ব নির্ধারিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি বিএনপির প্রার্থীর।

একাদশ সংসদ নির্বাচনেও এই আসনে ভোট করেছিলেন আবু সুফিয়ান। সে সময়ের সাথে উপনির্বাচনের ভোটের তারতম্য তুলে ধরে এবারের ফলকে জালিয়াতি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ঘোষিত ফল বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে সুফিয়ান বলেন, “জনগণের করের টাকা খরচ করে সরকার ও নির্বাচন কমিশন তামাশা করেছে। তামাশার নিবার্চন জনগণ মেনে নেয়নি।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুর হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান প্রমুখ।