সংঘর্ষের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বক্তব্য না দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
মঙ্গলবার বিকালে লালদীঘির মাঠে সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা ছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের। তবে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি।
সে সময় যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। একপর্পায়ে দুই পক্ষ ঢিলও ছোড়ে।
এ ঘটনার পর সমাবেশ আর হয়নি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন।
যুবলীগ চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, “অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে এ চেয়ার ছোড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।”
তবে ঘটনার পর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে বলে দাবি করেন তিনি।
“নিজেদের মধ্যে কেউ এ ঘটনা ঘটালে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাইরের কেউ এর সাথে যুক্ত থাকলে তাদের চিহ্নিত করে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
কাউন্সিলর মোবারক আলী চট্টগ্রামের রাজনীতিতে আ জ ম নাছিরের এবং এমইএস কলেজের সাবেক ছাত্রলীগনেতা ওয়াসিম উদ্দিন চট্টগ্রামের প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত।