চট্টগ্রামে সাত উপজেলায় ৮১৫ পূজামণ্ডপ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপনে এবার উত্তর চট্টগ্রামে প্রস্তুত হয়েছে ৮১৫টি মণ্ডপ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2019, 05:21 PM
Updated : 3 Oct 2019, 05:21 PM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিখিল কুমার নাথ বলেন,  “২০ বছর যাবৎ উত্তর চট্টগ্রামের সাত উপজেলার নয়টি থানা এলাকায় পূজার সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে পরিষদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে।

“এ বছরও মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় মোট ৮১৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।”

নির্বিঘ্নে ও সুন্দরভাবে দুর্গাপূজার আয়োজনে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ইতোমধ্যে বিনিময় সভা হয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার এই পূজা উদযাপন পরিষদ।  

নিখিল কুমার নাথ বলেন,  “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশ পরিচালনা করছে। তাই আমাদের প্রত্যাশা অনেক।

“তবে জবর দখল, মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাংচুরের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা এখনো ঘটে চলেছে।”

তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থান আপাতত সামাল দিতে পারলেও সেই গোষ্ঠীর গোপন কার্যক্রম এখনো চলছে। তারপরও আমরা আশা করি বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের সার্বিক সহযোগিতা ও বলিষ্ঠ ভূমিকায় এবারে সুষ্ঠু ও শান্তি শৃঙ্খলার মাধ্যমে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবিও তোলা হয়।

এর মধ্যে রয়েছে- সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও নিপীড়ন বন্ধ করা, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধির মাধ্যমে দেবোত্তর বোর্ড গঠন, অর্পিত সম্পত্তি আইনের মাধ্যমে প্রকৃত উত্তরাধিকারীর কাছে হস্তান্তর, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পরিবর্তে হিন্দু ফাউন্ডেশন গঠন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সকল অধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা।

এছাড়াও দুর্গাপূজা উপলক্ষে চার দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা এবং ‍পূজা চলাকালে সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার দাবি জানায় পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি নটু কুমার ঘোষ, পরিষদের নেতা চন্দন তালুকদার, অমৃত লাল দে, জীতেন কান্তি গুহ, পরিমল কান্তি দে ও সাংবাদিক শুকলাল দাশ।