ময়লা নিয়ে অপপ্রচার: মেয়র নাছির

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে বাইরে থেকে ময়লা এনে নগরীতে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2019, 05:44 PM
Updated : 21 July 2019, 05:44 PM

রোববার নগরীর টাইগার পাসে নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে ৪৮তম সাধারণ সভায় তিনি এ অভিযোগ করেণ।

মেয়র নাছির বলেন, “চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সুনামকে ম্লান করার জন্য একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে।

“এই চক্রটি বাইরের ময়লা এনে নগরীতে ফেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।”

গত কয়েক মাসে ময়লাবাহী রিকশা ভ্যান থেকে আর্বজনা খালে ফেলার কমপক্ষে দুটি ভিডিও ফেইসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সিসিসির পরিচ্ছন্ন বিভাগের ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা দেখতে কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।

তিনি বলেন, “পরিচ্ছন্ন বিভাগের সক্ষমতা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। প্রতিটি ওয়ার্ডে বিগত সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ কর্মী বেশি আছে। এখন কর্মী স্বল্পতার অজুহাত দেখিয়ে পার পাওয়া যাবে না।”

“আপনাদের সুপারিশে এসব পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। আপনারা তাদেরকে চাকরি দিয়েছেন, চাকরি রক্ষার দায়িত্ব তাদের,” কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন মেয়র।

নগরীর রাস্তায় ময়লা-আর্বজনার স্তূপ যেন দেখা না যায়, সে বিষয়ে সিসিসি’র প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাকে সর্তক করেন মেয়র।

তিনি বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। একবার এই ডেঙ্গু রোগ দেখা দিলে মহামারী আকারে ধারণ করবে।”

বাসাবাড়ির আশপাশে ডাবের খোসা, ফুলের টব, ছাদ, ফ্রিজের নিচের ট্রেতে যাতে পানি না জমে সেদিকে নজর রাখতে নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান মেয়র।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ১৫ জুলাই ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

মেয়র নাছির বলেন, প্রতিদিন ১৬১ জন কর্মী নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ও বিভিন্ন স্থানে ওষুধ ছিটাচ্ছে। এ ছাড়া রয়েছে সচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন, মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ।

“প্রতিটি ওয়ার্ডের ঝোপঝাড় পরিস্কার ও নালা-নর্দমায় যেখানে মশা বংশবিস্তার করে, সেখানেও ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এ সব বহুমুখী কর্মসূচির কারণে মশার উপদ্রব ও ডেঙ্গুর প্রকোপ নেই চট্টগ্রামে।”

সভায় সিসিসির চলমান সকল উন্নয়ন প্রকল্পে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তাদেরকে প্রকল্প এলাকায় বাধ্যতামূলকভাবে অবস্থান করার নির্দেশ দেন মেয়র।

তিনি বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতি তার অধীনস্থ কর্মকর্তাদের দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে দেয়। স্বচ্ছতা ও কাজের গুণগত মান নিশ্চিত হয়।”

সভায় প্যানেল মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেমসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।