সোমবার সকালে নগর ভবনে মেয়রের সঙ্গে বৈঠকে চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বন্দর, বে-টার্মিনাল কর্ণফুলী টানেল, মিরসরাই ইকোনোমিক জোন, বন্দর সংলগ্ন সড়ক উন্নয়ন ও এলইডি বাতি প্রকল্প বিষয়ে আলোচনা হয়।
মেয়র নাছির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভারতীয় হাই কমিশনার বলেছেন- বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া ও চট্টগ্রামের পরিবর্তন দেখে তিনি অভিভূত।
“আগেও তিনি এখানে ছিলেন। তবে এবার এসে দেখেছেন, বাংলাদেশ ও চট্টগ্রামের মৌলিক পরিবর্তন হয়েছে।”
মেয়র বলেন, “বে-টার্মিনাল নিয়ে ভারতের সাথে আলোচনা চলছে। ভারত এই প্রকল্পে অর্থায়ন করতে পারে।
“মিরসরাই অর্থনৈতিক জোনসহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জোনগুলোতে ভারতের বিনিয়োগ নিয়েও হাই কমিশনারের সাথে আলোচনা হয়েছে।”
সাক্ষাতের শুরুতে ভারতীয় হাই কমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রামের মেয়র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান, এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া এবং ভারতবাসীর বিরল ত্যাগ ও ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে উপস্থিত সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ভারতীয় হাই কমিশনার চট্টগ্রাম নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানতে চান।
এসময় মেয়র কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ এবং চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রামকে ঘিরে বিভিন্ন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য তুলে ধরেন।
সিটি করপোরেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেয়র ভারতীয় হাই কমিশনারকে জানান, গত ১০ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
“প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগী হয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রামের উন্নয়নে কাজ করছেন। বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বে টার্মিনাল ও কন্টেইনার টার্মিনাল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বন্দরের সক্ষমতা দ্বিগুণ হবে।”
মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতের বিনিয়োগের বিষয়ে দিল্লিতে কাজ চলছে বলে এসময় মেয়রকে জানান রীভা গাঙ্গুলি।
ভারত সিসিসির উন্নয়ন অংশীদার জানিয়ে মেয়র নাছির বলেন, নগরীতে এলইডি বাতি লাগানোর প্রকল্পটি ভারতের লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে বাস্তবায়িত হবে। এটি এখন একনেকে আছে।
বৈঠকে ভারতের সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি, সিসিসির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।