এ লক্ষ্যে বুধবার নগরীর কোতোয়ালি থানা প্রাঙ্গণ, মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ এবং সংলগ্ন সড়ক বিভাজকে থাকা গাছগুলোতে কৃত্রিম পাখির বাসা স্থাপন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের এলাকায় অতীতে সড়ক বিভাজকে এমন কিছু গাছ লাগানো হয়েছে সেগুলো পরিবেশবান্ধব নয়।
“তাই পাখিরা যাতে ফিরে আসে সে লক্ষ্যে এ কাজ শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে পাঁচশটি মাটির হাড়িতে তৈরি পাখির বাসা গাছে ঝোলানো হবে। আজ কয়েকটি পাখির বাসা ঝোলানো হয়েছে। পাখিদের জন্য পানির পাত্রও রাখা হবে।”
ওই এলাকায় কিছু জালালি কবুতর থাকার কথা জানিয়ে এই কাউন্সিলর বলেন, কবুতরগুলোর খাবারের যোগান দেওয়ার জন্য কয়েকটি জায়গা নির্ধারণ করছেন। সেখানে গম রাখা হবে, যাতে কবুতরগুলো প্রতিদিন এসে খেতে পারে।
আগামী বর্ষায় ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির পরিবেশবান্ধব গাছ লাগানোর পরিকল্পনা জানান তিনি।
তিনি বলেন, “আমার এলাকাটি শহরের প্রাণকেন্দ্র। এখানে ছোটবেলায় নানা রকম পাখির আনাগোনা আমরা দেখেছি। কিন্তু এখন নগরায়নের চাপে আর পাখির দেখা পাই না।
“তাই আর বেশি ইট-পাথরের চাপ না বাড়িয়ে, সবুজ বাড়াতে চাই। পাখিদের ফেরাতে চাই সেই সবুজে, যাতে নতুন প্রজন্ম প্রকৃতির সান্নিধ্য পায়।”
বুধবার গাছে পাখির বাসা ঝোলানোর সময় কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীনও উপস্থিত ছিলেন।