কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলছেন, আসলাম ও তার সহযোগীরা অটোরিকশা নিয়ে ঘুরে ঘুরে নগরীতে ছিনতাই করে আসছিল।
“গভীর রাত ও ভোরের দিকে রেল স্টেশন ও বাস টার্মিনালে যাওয়া-আসার পথে থাকা যাত্রীরা ছিল তাদের প্রধান টার্গেট।”
মঙ্গলবার গভীর রাতে নগরীর নন্দনকানন বোস ব্রাদার্স মোড়ে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিরপর আসলাম হোসেন ওরফে ইমনকে (৩২) একটি এলজি ও তিন রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে নগরীর বিভিন্ন থানায় আসলামের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রায়েছে বলে জানান ওসি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, আসলাম ও তার সহযোগীরা সাত থেকে আটজন মিলে রাতে দুটো অটোরিকশা নিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায়।
গত বছরের ২০ অক্টোবর ভোরে নগরীর জামালখান মোড়ে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের বন্দর জোনের কনস্টেবল বাবলা বিশ্বাস। বাধা দিতে গিয়ে তিনি ছুরিকাহত হন।
কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় বাবলা বলেছেন, তিনজন মুখোশধারী ছিনতাইকারী তাকে ছুরি মেরে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে অটোরিকশায় করে পালিয়ে যায়।
ওসি মহসিন বলেন, “মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে আমরা ওই ঘটনার সাথে আসলাম বাহিনীর সম্পৃক্ততা পাই। তাকে ধরার জন্য আমরা বিভিন্ন স্থানে অভিযানও চালানো হয়।”
গত ৩ নভেম্বর ভোরে নন্দকানন এলাকায় এক এনজিও কর্মকর্তার কাছ থেকে টাকা ছিনতাই হয়। ওই ঘটনাতেও পুলিশের প্রধান সন্দেহভাজন আসলাম।
এরপর মঙ্গলবার গভীর রাতে নন্দনকানন এলাকা থেকেই আসলামকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি মহসিন বলেন, “আসলাম তার ছয় সহযোগীকে নিয়ে রাতে ছিনতাই করতে বের হয়েছিল। কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল তখন নন্দনকাননে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে আসলাম আহত হয়। তার সঙ্গীরা তখন পালিয়ে যায়।”
আসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার সহযোগীদের নাম সংগ্রহ করা হচ্ছে জানিয়ে ওসি বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আসলাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে জামালাখান মোড়ে কনস্টেবল বাবলাকে ছুরি মেরে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে।