দ্বিতীয় দিনে কর্ণফুলী তীরের ৩০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে দ্বিতীয় দিনে ত্রিশটির মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Feb 2019, 01:55 PM
Updated : 5 Feb 2019, 01:55 PM

দ্বিতীয়দিনে কর্ণফুলী নদী তীরের দখলে থাকা আরও চার একরের মতো জায়গা দখলমুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দুইদিনে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি।  

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টায় মাঝিরঘাট এলাকা থেকে অভিযান শুরু হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন পতেঙ্গা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার তাহমিলুর রহমান এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দ্বিতীয় দিনে প্রায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মধ্যে আধা-পাকা ও পাকা স্থাপনা আছে।

ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, কর্ণফুলী নদীর মাঝিরঘাট সংলগ্ন অংশে বিভিন্ন পণ্যের গুদাম হিসেবে এসব স্থাপনা ব্যবহার করা হত। এসব গুদামের মালিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের নির্ধারিত জমির সীমানা অতিক্রম করে নদীতেও স্থাপনা সম্প্রসারণ করেছিল।

মঙ্গলবার নতুন করে স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি সোমবার ভেঙে দেয়া স্থাপনাগুলোর অবিশিষ্টাংশ ভাঙার কাজও করে শ্রমিকরা।

সোমবার থেকে কর্ণফুলীর দুই তীর উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

অভিযানের প্রথম দিনে সদরঘাট লাইটার জেটি ঘাট থেকে শুরু করে মাঝিরঘাট পর্যন্ত অংশে প্রায় ৮০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

দ্বিতীয় দিনের অভিযানেও কয়েকশ শ্রমিক, র‌্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছে।

২০১০ সালের ১৮ জুলাই হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে জনস্বার্থে করা রিট আবেদনে হাই কোর্টের এক আদেশে নদী দখল, মাটি ভরাট ও নদীতে সব ধরণের স্থাপনা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। সেইসাথে স্থানীয় প্রশাসনকে নদীর প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে বলে আদালত।

আদালতের নির্দেশের পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করে। সেসময় যে অবৈধ স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছিল, সেগুলোই এখন উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে একটি সমন্বয় সভার পর সোমবার থেকে অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। পতেঙ্গা, ইপিজেড, বন্দর, কোতোয়ালি, বাকলিয়া, চান্দগাঁও মৌজার ৩৬৮ এবং পূর্ব পতেঙ্গা মৌজার ১৭৪৪টিসহ ২১১২টি স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে আলোচনা হয় সেদিনের সভায়।