সোমবার ভোরে লোহাগাড়া উপজেলার বটতলী বাজার এলাকার এম কে বোর্ডিং নামের ওই আবাসিক হোটেল থেকে কিশোর সাদেক ছোবাহান সাকিবকে (১৭) উদ্ধার করা হয়।
এসময় মো. হোসেন (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হলেও অপহরণের ‘মূল হোতা’ সাকিবের খালাত ভাই জাহাঙ্গীর আলম ওরফে জয় (২৮) পালিয়ে গেছেন।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (পশ্চিম) মঈনুল ইসলাম জানান, সাতকানিয়া করাইয়ানগরের বাড়ি থেকে গত ১০ জানুয়ারি সকালে চন্দনাইশের বিজিসি ট্রাস্ট কলেজে যাচ্ছিল সাকিব।
ঠাকুরদিঘী এলাকায় জয় তাকে গাড়ি উঠিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তার বাবার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এই ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সাকিবের বাবা ফৌজুল কবীর।
“আমরা বিষয়টি আমলে নিয়ে টানা ২১ ঘণ্টা অভিযান চালাই সাতাকানিয়া, লোহাগাড়াসহ বিভিন্ন দুর্গম এলাকায়। পরে ভোর রাতে লোহাগাড়া উপজেলার বটতলী এম কে শপিং সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় এম কে বোর্ডিং নামের একটি আবাসিক হোটেলের ৩০৪ নম্বর রুম থেকে সাকিবকে উদ্ধার করা হয়।”
গোয়েন্দা কর্মকর্তা মঈনুল জানান, “সাকিবদের পরিবারের সাথে তার খালাত ভাই জয় ও পরিবারের সদস্যদের যোগাযোগ ছিল না। গত ৮ জানুয়ারি জয় সাকিবকে ‘ভুল করে’ ফোন করেছে বলে তার খবর নেন এবং কৌশলে কলেজ যাওয়ার সময়টিও জেনে নেন।
“সাকিবকে অপহরণ করার পর প্রথমে লোহাগাড়ার দুর্গম এলাকা নাখালদিয়ার একটি মাছের প্রজেক্টে নিয়ে রাখে। সেখান থেকে কয়েকটি স্থানে ঘুরিয়ে হোটলেটিতে এনে রাখে।”
তিনি আরও জানান, হোটেল থেকে চেতনানাশক ওষুধ ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।