ভোটের আগে এক হলেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতারা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মতানৈক্য ভুলে একযোগে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2018, 04:20 PM
Updated : 27 Nov 2018, 04:20 PM

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

সভায় নগরীর চারটি আসন থেকে নৌকার প্রত্যয়ন পাওয়া চার প্রার্থী আফসারুল আমীন (চট্টগ্রাম-১০), এম এ লতিফ (চট্টগ্রাম-১১), মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (চট্টগ্রাম-৯) ও মইনুদ্দিন খান বাদল (চট্টগ্রাম-৮) উপস্থিত ছিলেন।

এদের মধ্যে সাংসদ লতিফ ও আফসারুল আমীন দীর্ঘদিন পর দলীর সভায় যোগ দিলেন। 

গত কয়েক বছর ধরে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় নগর কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের তোপের মুখে ছিলেন এই দুই নেতা।

মঙ্গলবারের বর্ধিত সভায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম নগরীসহ আশেপাশের মোট ছয়টি আসনে প্রধানমন্ত্রী যাকেই মনোনয়ন দিয়েছেন, তাকেই বিজয়ী করতে হবে।

“নেতাদের কারণে বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের কেউ কেউ আমাদের ভুল বুঝে থাকতে পারেন। সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এরকম কোনো কাজ করা যাবে না।”

সব ‘মতানৈক্য’ ভুলে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাছির বলেণ, প্রত্যেক প্রার্থীর জন্য প্রচারণার কাজ করতে হবে।

“বিজয়ের ভাগিদার সবাই হতে চায়। কিন্তু ব্যর্থতার ভাগ কেউ নিতে চায় না। মনের কথা বলছি। আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে চাই না, সম্মান ও মর্যাদা চাই। জীবনবাজি রেখে সব প্রার্থীকে জিতিয়ে আনব।”

নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “নেত্রীর দেওয়া সব প্রার্থীকে বিজয়ী করতে একযোগে কাজ করব।”

জাসদের মইনুদ্দিন খান বাদল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া জাতির সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। জাতিকে গণতান্ত্রিক ধারায় রেখে নতুন প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব দিতে চাইলে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।”

সাংসদ লতিফ বলেন, “গত পাঁচ বছর সাধারণ মানুষের কাছাকাছি ছিলাম। আওয়ামী লীগের মত বড় ও সংগঠিত সংগঠন কারো নেই। ইনশাল্লাহ নৌকার সব প্রার্থী জয়ী হবে।”

সাংসদ আফসারুল আমীন বলেন, “দলীয় সভানেত্রীকে আবারো আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।”

সীতাকুণ্ডের সাংসদ ও আগামী নির্বাচনে ওই আসনে প্রত্যয়ন পাওয়া দিদারুল আলম বর্ধিত সভায় যোগ দিতে নিজ এলাকা থেকে রওনা হলেও যানজটের কারণে সভায় পৌঁছাতে পারেননি।

মহিউদ্দিনপুত্র নওফেল সভায় বলেন, “এখানে সবাই আমার বাবার সহকর্মী, আমার পিতৃতুল্য। আমার সেই অর্থে কোনো রাজনৈতিক অর্জন নেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা চট্টগ্রাম-৯ আসন নৌকাকে উপহার দিয়েছেন। এখন বিজয় পতাকা ‍উড়াতে হবে।

“ইভিএম এ অস্বচ্ছতার কোনো সুযোগ নেই। এই আসনে বিজয়ী হয়ে অপশক্তিকে জবাব দিতে হবে যে জনগণ নৌকার সঙ্গেই আছে।”

এর আগে বিকেলে নগর ভবনে গিয়ে মেয়র ও নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের সঙ্গে দেখা করেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নওফেল এবং জাসদের একাংশের নেতা বাদল।

নগর কমিটির প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর কমিটির সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, জহিরুল আলম দোভাষ ও ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল।

নগরীর বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী তিন নেতা নগর কমিটির সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসি ও খোরশেদ আলম সুজন এবং কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম সভায় উপস্থিত ছিলেন না।