তফসিলকে কেন্দ্র চট্টগ্রামে নিরাপত্তায় কড়াকড়ি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে ঘিরে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়ও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2018, 12:47 PM
Updated : 8 Nov 2018, 12:47 PM

বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি জোরদার করা হয়েছে টহল।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, ২০১৩ সালের মতো কোনো অবস্থা কিংবা ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না। সেজন্য শহর জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

“জনগণ যাতে নিরাপত্তার অভাব বোধ না করে সেজন্য আমাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

“জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি কেউ ধ্বংসাত্মক কাজ ঘটালে তাদের সমুচিত জবাব দেবে পুলিশ।”

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণাকে যেকোনো নাশকতা রোধে নগরীতে দেড় হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। নগরীর ১৬ থানায় নিয়মিত টহল টিমের পাশাপাশি পিকেট টিমও মোতায়েন করা হয়েছে।

দক্ষিণ জোনের কোতোয়ালী থানায় নিয়মিত চারটি টহল দলের পাশাপাশি সাতটি পিকেট টিম মোতায়েন করা হয়েছে।

বাকলিয়া থানায় দুইটি, চাকবাজার ও সদরঘাট থানায় একটি করে পিকেট টিম মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি থাকবে চারটি করে নিয়মিত টহল টিম।

এদিকে উত্তর জোনের চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, খুলশী থানা এলাকায় চারটি করে এবং বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি পিকেট টিম মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি থানায় চারটি করে নিয়মিত মোবাইল টিমও থাকবে।

পশ্চিম জোনের ডবলমুরিং, হালিশহর, পাহাড়তলী ও আকবর শাহ থানা এলাকায় দুইটি করে পিকেট টিম রাখা হয়েছে।

বন্দর জোনের বন্দর, ইপিজেড থানায় দুইটি করে এবং পতেঙ্গা ও কর্ণফুলী থানায় একটি করে পিকেট টিম মোতায়েন করা হয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি জোনের উপ-কমিশনারদের নেতৃত্বে থাকবে প্রতিটি জোনে একটি করে স্ট্রাইকিং টিম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাজোয়া যানও। 

পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে (কেপিআই) অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের পর চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তেল ডিপো পদ্মা, মেঘনা, যমুনায় বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল ইসলামী ছাত্র শিবির। হামলার বার্তা নিয়ে চট্টগ্রামে আসা এক শিবির নেতাকে গ্রেপ্তারের পর ভেস্তে যায় ওই পরিকল্পনা।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বন্দর) আরেফীন জুয়েল বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি। সেখানে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি।”

নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব সদস্যরাও টহলে রয়েছেন।