রোববার সকাল থেকে চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের একপক্ষের ডাকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারসহ অন্যান্য উপজেলার রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সকাল থেকে হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন কক্সবাজার, বান্দরবানসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামমুখী লোকজন।
শনিবার দুপুরে নগরীর দামপাড়া এলাকায় হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টারে ভাংচুর চালায় একদল যুবক। তার আগে শাহ আমানত সেতু মোড়ে হানিফ পরিবহন ও হানিফ সুপার কাউন্টারেও তারা তালা দিয়েছিল।
এর জেরে মালিক গ্রুপ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে শনিবার বিকালেও যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছিল।
মালিক গ্রুপের নেতাদের দাবি, ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ হানিফ মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। কিন্তু চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী হানিফ পরিবহন ও হানিফ সুপার প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক অন্য ব্যক্তি।
বাকলিয়া থানার ওসির খারাপ ব্যবহারের কারণে মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব কুমার চৌধুরী বলেন, “দুপুরে কিছু ছাত্র হানিফ পরিবহন ও হানিফ সুপারের কাউন্টারে তালা দেয়। তাদের ম্যানেজারের সাথে কথা বলে বিষয়টি পরে সমাধানের কথা বলা হয়েছিল।
“এর মধ্যে মালিক গ্রুপের আবুল কালাম আজাদ আমাকে ফোন করে উত্তেজিত হয়ে খুব খারাপ ভাষায় কথা বলেন। উনাকে শুধু ভদ্রভাবে কথা বলতে বলেছি।”
উনার খারাপ আচরণের বিষয়ে থানায় জিডি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
তবে এ ধর্মঘট সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের কোনো সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নয় বলে জানিয়েছেন সভাপতি মনজুরুল আলম মঞ্জু।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “মালিক গ্রুপ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। আলোচনা না করে হুট করে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।”
কক্সবাজার রুটে হানিফের নামে ইজারা নিয়ে বিভিন্ন মালিক বাস চালায় বলে জানান তিনি।