শনিবার সকাল ৮টায় নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে নগরীর ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ শেষে রাজনৈতিক নেতাদের আলোচনাতেও ছিল বৃষ্টি এবং জলাবদ্ধতা।
জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে ঈদের নামাজে ইমামতি করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল কাদেরি।
এখানে নামাজে অংশ নেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপি নেতা সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ, নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
নামাজে চট্টগ্রামবাসীর জন্য দোয়া প্রার্থনা করা হয়।
ঈদের নামাজ চলার মধ্যেই ভারিবর্ষণ শুরু হলে দুর্ভোগে পড়েন অনেকে। নামাজ শেষে ছাতা মাথায় ঈদগাহ থেকে বাড়ি ফিরতে হয়ে সবাইকে।
নামাজ শেষে দল-মত নির্বিশেষে একে অন্যের সাথে কোলাকুলি করেন। এসময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের পরস্পরের সাথে কুশল বিনিময় করতে দেখা গেছে।
নামাজ শেষে সংবাদকর্মীরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত বলেন, “নগরবাসী জলাবদ্ধতায় নিমগ্ন রয়েছে। বিশেষ করে হালিশহর, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ সব এলাকা নিমগ্ন রয়েছে। আমরা একটা জলাবদ্ধতামুক্ত শহর চাই।
আওয়ামী লীগ নেতা মোসলেম উদ্দিন বলেন, “প্রাকৃতিকভাবে আমরা দুর্যোগপূর্ণ এলাকার জনগণ। বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় বর্ষায় প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে উৎসবগুলো পালন করতে হয়। তেমনি আষাঢ় মাসে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে আমরা ঈদ উৎসব পালন করছি।”
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল সাড়ে আটটায় এম এ আজিজ আউটার স্টেডিয়াম এলাকায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের আয়োজনে নগরীর ১৬৭টি স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।