রোববার দুপুরে উপজেলার কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনায় আহত ছাত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দপ্তরি আপন দুলাল মালিকে (৪২)।
ওই ছাত্রীর চাচা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কাটিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে তার ভাতিজি। আর ভাইপো পড়ে পার্শ্ববর্তী কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে।
দুপুরে তার ভাতিজি এক বান্ধবীকে নিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া বড় ভাইকে খাবার দিতে গেলে দপ্তরি আপন দুলাল তাকে স্কুলের দোতালায় নিয়ে যায় এবং তার বান্ধবীকে চলে যেতে বলে।
ছাত্রীর চাচা জানান, তার ভাতিজি ফিরে না আসায় স্কুলের শিক্ষক ও তার বাবা খুঁজতে স্কুলে যায়। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে গোঙানির শব্দ শুনতে পেয়ে ঢাকনা সরিয়ে তাকে পাওয়া যায়।
“দপ্তরি ছুরি দিয়ে আমার ভাতিজির আঘাত এবং কপালে ও কানে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করেছে।”
উদ্ধারের পর মেয়েটিকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলেও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, মেয়েটিকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার গলা ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে।
হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, “স্থানীয়রা দপ্তরি আপনকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে সে শিশুটিকে ধর্ষণ চেষ্টার কথা স্বীকার করেছে। তবে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।”