দুই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচজনকে।
সোমবার গভীর রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার বায়তুশ শরফ মাদ্রাসা এলাকা থেকে মাছের ট্রাকটি আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
ট্রাকে ইলিশ মাছের আড়ালে ইয়াবাগুলো টেকনাফ থেকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল বলে পুলিশের দাবি।
এসময় গ্রেপ্তার করা হয়- কামরুল ইসলাম (২১), আলাউদ্দিন (১৯) ও ট্রাকচালক আবু তাহেরকে (৩২)।
গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (পশ্চিম) মঈনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ট্রাকটিতে খোলা মাছ রেখে তার ওপর বরফ ছড়ানো ছিল।
“সাধারণত পানি লাগলে ইয়াবা নষ্ট হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিতে তারা ট্রাকে মাছের ওপর বরফ ছড়িয়ে তার ভেতরে বিশেষ কৌশলে প্যাকেট করে ইয়াবা রেখেছিল।”
গ্রেপ্তার কামরুল ইয়াবাগুলোর মালিক বলে জানান তিনি।
“আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে সে মাছের আড়ালে ট্রাকে করে ইয়াবা পাচার করত বলে স্বীকার করেছে।”
এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানায় মামলা হয়েছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে রেয়াজুদ্দিন বাজারে সবজির ব্যাগে ১০ হাজার ইয়াবাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (৩৮) ও রেয়াজুদ্দিন বাজারের রয়েল প্লাজার মালিক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন (৩৩)।
রয়েল প্লাজায় প্লাস্টিক হাউজ নামক প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মেট্রো উপ-অঞ্চলের উপপরিচালক শামীম আহমেদ।
তিনি বলেন, “ইয়াবা বিক্রির জন্য নেওয়া হবে এমন খবর পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সবজির ব্যাগে ইয়াবাগুলো ছিল।”