রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন রমা চৌধুরীকে দেখতে যান ওবায়দুল কাদের। তিনি রমা চৌধুরীর চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বীর প্রসবিনী বাংলার এক বীর সন্তান। তিনি একাত্তরের জননী। আজ তিনি অসুস্থ।
“শুনেছি পায়ে হেঁটে হেঁটে তিনি নিজের বই বিক্রি করেন। আত্মসম্মানবোধ তার খুব প্রবল। আমরা তাকে ওন করি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করব। ডিসি (জেলা প্রশাসক) সাহেব যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটা সরকারেরই অংশ।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “এখানে যতটা চিকিৎসা হয় তাতে যদি উনি সুস্থ না হন তাহলে তিনি স্ট্যাবল হলে তাকে বেটার ট্রিটমেন্টের জন্য ঢাকায় যদি নিতে হয় সব ধরণের সহযোগিতার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।”
অসুস্থ রমা চৌধুরীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে কর্তব্যরতরা দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে আলাপ করব। আমি জানি না, তিনি অবহিত কি না। তাকে বিষয়টি আমি জানাব। যারা এই অপমান-অসম্মান করেছে, নিশ্চয়ই স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।”
মেডিকেল সেন্টারে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা বিল হয়েছে জেনে তিনি বলেন, “বিলটা আমি আজকেই দিয়ে দিব। বেটার ট্রিটমেন্টের জন্য যেখানেই নিতে হয়, সেব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেব।”
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন ও চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।
উপস্থিত ছিলেন রমা চৌধুরীর একমাত্র ছেলে জহর লাল চৌধুরী ও রমা চৌধুরীর বইয়ের প্রকাশক আলাউদ্দিন খোকন।
বিকালে বিপ্লব বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালে বকেয়া থাকা এক লাখ ৭০ হাজার টাকা দলের সাধারণ সম্পাদক পরিশোধ করে দিয়েছেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর কোমরের হাড় ভেঙ্গে নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি হন রমা চৌধুরী। ৭৮ বছর বয়সী এই লেখিকা ডায়বেটিস, ব্রংকাইটিস, পিত্তথলির পাথরসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।
জীবনে কখনো কারো কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা গ্রহণ না করলেও ২৪ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসার জন্য সহায়তা চান এই বীরাঙ্গনা।
২০১৩ সালের ২৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছিলেন রমা চৌধুরী। সেদিনও কোনো সহায়তা না চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আশির্বাদ করে চট্টগ্রামে ফেরেন তিনি।