পদদলনে হতাহতের ঘটনার তদন্তের দিকে চেয়ে মহিউদ্দিনপুত্র

বাবার কুলখানিতে পদদলিত হয়ে ১০ জন নিহত হওয়ার ঘটনার কারণ ‘তদন্ত’ হলে জানা যাবে বলে আশা করছেন সদ্য প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2017, 05:49 PM
Updated : 19 Dec 2017, 06:17 PM

এদিকে ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পদদলনের সময় কী ঘটেছে, তা সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করলেই জানা যাবে বলে মনে করেন নওফেল।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে সোমবার দুপুরে নগরীর ১৩টি কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

এর মধ্যে অমুসলিম এবং যারা গোমাংস খান না, তাদের জন্য মেজবানের ব্যবস্থা হয়েছিল রীমা কমিউনিটি সেন্টারে। সেখানে পদদলিত হয়ে ১০ জন মারা যান।

হতাহতদের দেখতে বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মহিউদ্দিনের ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নওফেল। পরে বাসায় ফিরে যান তিনি।  

রাতে নওফেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অসাবধানতাবশত এ ঘটনা ঘটনা ঘটেছে কি না, তা আমরা জানতে চাই।

“এর আগেও আমাদের বাসায় এবং বিভিন্ন স্থানে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক মেজবানের আয়োজন করা হয়েছে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। রীমা কমিউনিটি সেন্টারে আগেও বহু মেজবান হয়েছে। তখনও কিছু হয়নি।”

ব্যারিস্টার নওফেল বলেন, অসাবধানতাবশত অপেক্ষমানদের মধ্যে থেকে কেউ রীমা কমিউনিটি সেন্টারের দরজার লক খুলে দিয়েছিল কি না তা দেখতে হবে।

“সেটা সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে। তদন্ত হলে জানা যাবে আসলে কী ঘটেছিল।”

রীমা কমিউনিটি সেন্টারে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে হতাহতের পরের চিত্র। ছবি: সুমন বাবু

এদিকে রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতদের স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তরের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

নগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও নিহতদের স্বজনদের পক্ষে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তরের অনুমতি দিতে আহ্বান জানান।

রাত ১০টার দিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুকুর রহমান সিকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিধি মোতাবেক সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান মাসুকুর রহমান।

পুলিশও তদন্ত শুরু করেছে বলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি বিভাগের সহকারী কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ সেখানে থাকা একটি ভিডিও ক্যামেরার ফুটজে সংগ্রহ করেছে। তার বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর আওয়ামী লীগের এক নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনার আগে পরে রীমা কমিউনিটি সেন্টারের আশেপাশে কাদের আনাগোনা ছিল সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”