প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উৎসবে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ

কেউ সরকারি আমলা, কেউ সাংবাদিক, আবার কেউ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা; ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2017, 04:29 PM
Updated : 10 Dec 2017, 04:29 PM

রোববার তারা ছুটে এসেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। 

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হৃদয় নিংড়ানো ‘পুরানো সে দিনের কথা ভুলবি কিরে হায়….’- শব্দগুচ্ছের আবেগময় প্রকাশ দেখা গেল এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

নৈসর্গিক সৌন্দর্য ঘেরা এই বিদ্যাপীঠ থেকে যারাই একদিন জীবন চলার পাথেয় সংগ্রহ করেছেন, তাদের কেউই প্রিয় এই ক্যাম্পাস, শিক্ষক, বন্ধু, সহপাঠী ও সতীর্থদের সঙ্গে যাপিত সেই ক্ষণগুলোর কথা ভুলতে পারেননি।

শাটলের ছন্দে চলা জীবন সময়ের ঘড়িতে পা রেখে বিশ্ববিদ্যালয় পাড়ি দিয়ে কর্মব্যবস্তায় চলে যাওয়া এ বিভাগের সাবেকরা ২৩ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাথে মিলেছিলেন প্রাণের মেলায়।

বিভাগ ও অ্যলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয় ২৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

সকাল সাড়ে ১০টায় আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল পর্ব। সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ চত্বর থেকে শুরু হওয়া বর্ণিল শোভাযাত্রাটি ক্যম্পাসের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে।

এরপর সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাধব দীপের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও কলা অনুষদের সাবেক ডিন হায়াৎ হোসেন, প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিমুল নজরুল ও সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্লাহ।

বিভাগ ও অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত ম্যাগাজিন ‘অনুরণন’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন উপাচার্য।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিভাগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের ক্যাম্পাসভিত্তিক রেডিও এবং টেলিভিশন চ্যানেল চালুর পরিকল্পনার কথা জানান।

বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ করেন। দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজের পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

মূল অনুষ্ঠান সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে হলেও সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেকে ছুটে গিয়েছিলেন কলা অনুষদে।

এখন সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে হলেও প্রতিষ্ঠাকালে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ছিল কলা অনুষদেই। ওইভবনের নিচ তলায় ছিল এ বিভাগের শ্রেণি ও অফিস কক্ষ। ২০১২ সালে বিভাগটি সমাজবিজ্ঞান ভবনে স্থানান্তর হয়।

১৯৯৪ সালের ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সাংবাদিকতা বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ৮ মার্চ তা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট অনুমোদন দেয়।

একই বছরের ৮ ডিসেম্বর কলা অনুষদের তৎকালীন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক হায়াৎ হোসেনকে বিভাগের প্রথম সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিভাগের যাত্রা শুরু হয় এবং পরের বছর থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয় সাংবাদিকতা বিভাগে। যা পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ করা হয়।