চবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটি এবার বিলুপ্ত

নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত রাখার পর  এবার বিলুপ্তই করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকও চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2017, 02:09 PM
Updated : 6 Dec 2017, 02:09 PM

বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর বিকালে কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা আসে কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

২০১৫ সালের ২০ জুলাই আলমগীর টিপুকে সভাপতি এবং ফজলে রাব্বি সুজনকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্র থেকে।

কমিটি গঠনের পর থেকে নানা সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে জড়ান নেতারা। সংগঠনের নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যামামলায় আসামিও হন সভাপতি টিপু। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাদের কয়েক দফা হুঁশিয়ারি দিলেও তাতে কোনো সাড়া মেলেনি। এরপর কমিটি বিলোপের ঘোষণা এল।

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জাকির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হল।”

ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভবিষ্যতে নতুন কমিটি দেওয়া হবে, তাই স্থগিত কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।”

সম্প্রতি এক শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল আলমগীর টিপুর নেতৃত্বে; পরে উপাচার্য ভবনে ভাংচুরও চালানো হয় (ফাইল ছবি)

দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী তায়েফের সঙ্গে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের দীন ইসলামের বাক-বিতণ্ডা থেকে শাহ জালাল হলের সামনে দুই পক্ষের হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

তায়েফ শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন সিএফসি ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী। দীন ইসলাম বগিভিত্তিক সংগঠন সিক্সটি নাইন ও স্থগিত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারী।

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই মো. আখতারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শাহ জালাল হলের সামনে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের উত্তেজনায় একজন আহত হয়েছে। এরপর ক্যাম্পাস এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী দুইপক্ষের কাছ থেকে দুটি অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তারা।

সংঘর্ষের বিষয়ে ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সহ-সভাপতি রেজাউল হক বলেন, “ছোটদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। বড়রা বসে তা সমাধান করা হচ্ছে।”