বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত চত্বরে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি’ নামের সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি সুস্বপন কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিকের আইনগত অধিকার পাওয়ার জন্য দুইটি শ্রম আদালত আছে।
যেখানে আরও বেশি শ্রম আদালত থাকা প্রয়োজন সেখানে কাতালগঞ্জ এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা হয়।
আইনজীবীরা বলছেন, চট্টগ্রাম আদালত ভবন থেকে শ্রম আদালতের দূরত্ব বেশি হওয়ায় অধিকাংশ আইনজীবী এ আদালতে মামলা পরিচালনা করেন না। যার কারণে আদালতে বিচারাধীন এক হাজার ৬০০ মামলা পরিচালনা করা অল্প সংখ্যক আইনজীবীর পক্ষে সম্ভব না।
নগরীর কাতালগঞ্জ এলাকায় গণপূর্ত বিভাগের একটি বাড়িতে শ্রম আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সম্প্রতি সেখানে গণপূর্ত বিভাগ ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিলে তা পাঁচলাইশ এলাকায় চেয়ারম্যানের বাসভবনে স্থান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম আদালত ভবনে অনেক এজলাস খালি রয়েছে জানিয়ে আইনজীবী নেতা সুস্বপন বলেন, “চেয়ারম্যানের বাসভবনে কোনোভাবেই বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হতে পারে না।”
সংবাদ সম্মেলনে নিয়মিত আদালত না বসাসহ বিভিন্ন অভিযোগের কথাও তুলে ধরেন আইনজীবীরা।
জানানো হয়, আগে বিদ্যুৎ আদালত আগ্রাবাদে হলেও তাদের দাবির মুখে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে আদালত স্থানান্তরের দাবিতে রোববার থেকে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জহীর উদ্দিন মাহমুদ, নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রমুখ।