লালদিঘী হত্যার ‘খলনায়কদের’ সর্বোচ্চ শাস্তি চান মহিউদ্দিন

২৯ বছর আগে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগের সমাবেশের আগে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার ‘খলনায়কদের’ সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2017, 03:49 PM
Updated : 24 Jan 2017, 03:49 PM

মঙ্গলবার দুপুরে আদালত ভবন এলাকায় পুরাতন বাংলাদেশ ব্যাংক চত্বরে ‘চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম গণহত্যার খলনায়কদের বিচারিক প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হবেই। এই গণহত্যার নির্দেশদাতারা গণদুশমন। সমাজে তাদের অবাধ বিচরণ আমরা সহ্য করব না।

“স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আমাদের রক্ত বৃথা যায়নি। দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। জয় বাংলা ও আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে যারা সমাজকে কলুষিত করছে তারা ঘরের শত্রু বিভীষণ। তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের শেষ দিকে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নগরীর লালদীঘি ময়দানে এক জনসভায় যাওয়ার পথে তার গাড়িবহরে নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। এতে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হন।

এরশাদের সামরিক শাসনের অবসানের পর ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ আইনজীবী মো. শহীদুল হুদা বাদী হয়ে মামলা করেন। তবে তার বিচার কাজ এখনও শেষ হয়নি।

প্রায় তিন দশকেও বিচার না হওয়ায় নিহতদের স্বজনরা হতাশা ব্যক্ত করার পরদিন আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির আশাবাদ ব্যক্ত করলেন।

সভায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, “চট্টগ্রাম গণহত্যা বর্বরতার কলঙ্কময় এক অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি শেখ হাসিনাকে নিঃশেষ করতেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল।”

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইসহাক মিয়া। মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

নগর আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর কমিটির সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, এম জহিরুল আলম দোভাষ ও ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি আবু হানিফ।

ওই হত্যাকাণ্ড স্মরণে নির্মিত স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় নগর আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ ও কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।