পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধার: শাকিলাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

বাঁশখালীর লটমনি পাহাড়ে জঙ্গি আস্তানা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় বিএনপি নেতা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে র‌্যাব।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2016, 10:41 AM
Updated : 20 March 2016, 10:44 AM

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি রুহুল আমিন রোববার বাঁশখালীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সাজ্জাদ হোসেনের আদালতে এ অভিযোগপত্র দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ধর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছেন। তবে আমি এখনো দেখিনি। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।”

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মিফতা উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ মামলার ২৮ আসামির মধ্যে ২১ জন  কারাগারে আছেন। অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়েছে ৪১ জনকে।

ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা ছাড়াও তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া আইনজীবী হাসানুজ্জামান লিটন ও মাহফুজ চৌধুরী বাপন, হামজা ব্রিগেডের নেতা মনিরুজ্জামান ডনকে আসামি করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।  

গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় জঙ্গি আস্তানা ও সেখানে রাখা অস্ত্রের সন্ধান পায় র‌্যাব; গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচজনকে।

এরপর ওই মাসেই চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা এবং হালিশহরে আরও দুটি জঙ্গি আস্তানার খোঁজ মেলে র‌্যাবের তদন্তে।

সবশেষ গত বছরের এপ্রিলে বন্দরনগরী থেকে অস্ত্রসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের পর নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘হামজা ব্রিগেড’র বিষয়ে নিশ্চিত হয় র‌্যাব।

আদালতে শাকিলা ফারজানা

হামজা ব্রিগেডের অস্ত্র কেনার জন্য এক কোটি ৮ লাখ টাকা যোগানোর অভিযোগে গত বছর ১৮ অগাস্ট রাতে ঢাকার ধানমণ্ডি থেকে আইনজীবী লিটন ও বাপনসহ গ্রেপ্তার হন ব্যারিস্টার শাকিলা।

এরপর গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার তুরাগের তালতলা এলাকা থেকে পোশাক কারখানা ‘গোল্ডেন টাচ’ এর পরিচালক এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

লটমনি পাহাড়ের গত বছর ২১ ফেব্রুয়ারির  অভিযানে র‌্যাব তিনটি একে ২২ রাইফেল, একটি রিভলবার, ছয়টি পিস্তল ও দেশে তৈরি তিনটি বন্দুক উদ্ধার করে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ৭৫২টি গুলি, ১৫টি ম্যাগাজিন, তিনটি চাপাতি, দুটি ওয়াকিটকি ও ২৩টি প্রশিক্ষণ পোশাক পায়।

গরু-ভেড়া ও মুরগির খামারের আড়ালে গড়ে তোলা ওই আস্তানায় ফায়ারিং জোনও ছিল।

ওই ঘটনায় গতবছর ২৩ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালী থানায় র‌্যাবের উপ-সহকারী পরিচালক গোলাম রব্বানি বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও অস্ত্র আইনে মামলা করেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা মিফতা উদ্দিন বলেন, হামজা ব্রিগেডের অর্থায়নের বিষয়ে অভিযোগপত্রে তথ্য-প্রমাণ উল্লেখ করা হয়েছে।

হালিশহরে বিস্ফোরক মজুদের ঘটনায় গ্রেপ্তার মনিরুজ্জামান ওরফে ডনের মাধ্যমে আল্লামা লিবদি নামে দুবাইয়ের এক নাগরিক হামজা ব্রিগেডকে টাকা যোগাচ্ছিলেন বলে এতোদিন র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হাচ্ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিফতা উদ্দিন বলেন, লিবদির ঠিকানা না পাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। ঠিকানা পাওয়া গেলে পরে তাকেও অর্ন্তভুক্ত করা হবে।