বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদ আলমের আদালতে এ মামলা করেন চট্টগ্রাম জেলা আদালতের অতিরিক্ত পিপি চন্দন কুমার বিশ্বাস।
বাদী চন্দন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং চট্টগ্রাম নগরীর কৈবল্যধাম মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য।
আদালত তার অভিযোগ আমলে নিয়ে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে বলে জানান আইনজীবী চন্দন বিশ্বাস।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, গত ২১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে হিন্দুদের অন্যতম বড় তীর্থস্থান কৈবল্যধামের সীমানা দেয়াল ঘেঁষে একটি গর্ত খোড়া শুরু করেন সিসিসি’র ওই কাউন্সিলর। এর কারণে সীমানা দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়।
এর প্রতিবাদ করলে পরে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়।
চন্দন বলেন, “ওইদিন বিকালে কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে আমার বিরুদ্ধে সমাবেশ আয়োজন করা হয় এবং তাতে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার পাশাপাশি হিন্দু-মুসলিম বিভেদ তৈরির অভিযোগও তোলা হয়।
“এতে করে আমাকে ও মন্দির নিয়ে কটাক্ষ করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমার মানহানি করেছে।”
এইজন্য দণ্ডবিধির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ২৯৫ ধারা এবং ৫০০, ৫০১ ও ৫০৬ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।
এদিকে এ ঘটনায় কৈবল্যধাম মন্দিরের ভক্ত ও সেবায়েতরা ‘রাস্তা সম্প্রসারণের নামে জমি দখল চেষ্টার’ অভিযোগ এনে কাউন্সিলর জসিমের বিরুদ্ধে বুধবার নগরীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে।