চট্টগ্রামের ১০ মেয়রই আ. লীগের

বিএনপি প্রার্থীদের ‘বর্জন’ ও নানা অভিযোগের মধ্যে হওয়া ভোটে চট্টগ্রামের ১০ পৌরসভার সবকটিতেই জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Dec 2015, 05:01 PM
Updated : 30 Dec 2015, 05:27 PM

বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের কোনো মেয়র প্রার্থীই সাড়ে সাত হাজারের বেশি ভোট পায়নি। অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে রাউজানের দেবাশীষ পালিত সর্বোচ্চ ২৮ হাজার ১৬২ ভোট পেয়েছেন।  

বিএনপির পক্ষে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন পটিয়ার মেয়র প্রার্থী তৌহিদুল আলম। তিনি পেয়েছেন সাত হাজার ৫৩৫ ভোট।

চট্টগ্রামের দশ পৌরসভার নয়টিতে বিএনপির এবং চন্দনাইশে এলডিপির একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ভোটে সাতকানিয়ায় সরকারি কলেজ কেন্দ্রের অদূরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত হন নুরুল আমিন (৪৭) নামে একজন।

ভোটের সকাল থেকেই রাউজান, সন্দ্বীপ ও রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে ‘সরে দাঁড়ানোর’ ঘোষণা দেন।

মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও বারৈয়ারহাটে বিএনপির প্রার্থীরা ভোটকেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন।

চন্দনাইশ পৌরসভায় নির্বাচন শুরুর আগেই ব্যালটে সিল মারার অভিযোগে তিনটি কেন্দ্র বন্ধ করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা সনজিদা শারমিন।

পটিয়ার এক কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

এছাড়া বিএনপির একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে নিজেদের প্রত্যাহার না করলেও সব কেন্দ্রে ফের ভোটের দাবি জানায়।

চট্টগ্রামের বিএনপি নেতারাও সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘ভোট লুটের’ অভিযোগ তুলে ১০ পৌরসভায়ই ফের ভোটের দাবি জানান।

ঘোষিত ফল অনুযায়ী, বারৈয়ারহাটে আওয়ামী লীগের নিজাম উদ্দিন চৌধুরী পাঁচ হাজার ৬৬ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মইনুদ্দিন লিটন পেয়েছেন ২৩৮ ভোট।

মিরসরাইয়ে সাত হাজার ২৯৭ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের গিয়াস উদ্দিন মেয়র হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রফিকুল ইসলাম পারভেজ পেয়েছেন ৪৭৫ ভোট।

সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদিউল আলম ১৪ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়ে মেয়র হয়েছেন। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সৈয়দ আবুল মনসুর পেয়েছেন দুই হাজার ৯৪২।

সন্দ্বীপে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাফর উল্লাহ টিটু ২০ হাজার ৬৯০ ভোট পেয়ে মেয়র হয়েছেন। বিএনপির আজমত আলী বাহাদুর পেয়েছেন ৪৬৪ ভোট।

রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী লীগের শাজাহান শিকদার ১২ হাজার ৯৮৭ ভোট পেয়ে মেয়র হয়েছেন। বিএনপি প্রার্থী হেলাল উদ্দিন শাহ পেয়েছেন দুই হাজার ১৫৮  ভোট।

রাউজানে দেবাশীষ পালিত নৌকা প্রতীকে ২৮ হাজার ১৬২ ভোট পেয়ে মেয়র হয়েছেন। বিএনপি প্রার্থী আবদুল্লাহ আল হাসান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ১২০ ভোট।

পটিয়ায় ১২ হাজার ৯৬ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের মো. হারুনুর রশিদ মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির তৌহিদুল আলম পেয়েছেন সাত হাজার ৫৩৫ ভোট।

চন্দনাইশে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহবুবুল আলম ১১ হাজার ৫২২ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী এলডিপির আইয়ুব কুতুবী পেয়েছেন দুই হাজার ৭৭০ ভোট।

বাঁশখালীতে সেলিমুল হক চৌধুরী আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৩ হাজার ৩৩০ ভোট পেয়ে মেয়র হয়েছেন। বিএনপির প্রার্থী কামরুল ইসলাম হোসাইনী পেয়েছেন ছয় হাজার ৩৫০ ভোট।

সাতকানিয়ায় আওয়ামী লীগের মো. জোবায়ের ২০ হাজার ২৫৭ ভোট পেয়ে মেয়র হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রফিকুল আলম পেয়েছেন দুই হাজার ২৮৯ ভোট।