সীতাকুণ্ড থানার ওসি কামাল উদ্দিন বলেন, “কী কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
Published : 07 Sep 2024, 10:05 PM
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শীতলপুরে জাহাজ ভাঙা কারখানা এস এন করপোরেশনে আগুনে দগ্ধ আটজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শনিবার বিকাল পাঁচটার দিকে প্রতিষ্ঠানটির দগ্ধ আট শ্রমিক-কর্মচারীকে মালিকপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান রফিক উদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের শীতলপুর এলাকার এস এন করপোরেশনে একটি জাহাজের পাম্প হাউজে কাজ করার সময় বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে যায়। এতে ১২ জন দগ্ধ হন।
চিকিৎসক রফিক উদ্দিন জানান, হাসপাতালে আসা ১২ জনের মধ্যে ১০ জনের ১০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ আছে। সবাই শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাকি দুইজনের কানে সমস্যা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি কামাল উদ্দিন বলেন, “কী কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, দগ্ধ শ্রমিকদের ব্যান্ডেজ মুড়িয়ে পাশাপাশি বিছানায় রাখা হয়েছে। তারা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। প্রায় সবাইকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল।
দগ্ধ শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, “হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। এরপর থেকে কানে খুবই কম শুনছি।“
দগ্ধ শ্রমিক হাবিবের বেডের পাশে দাঁড়ানো ছিলেন তার স্ত্রী সামিনা আক্তার।
তিনি বলেন, “দুপুরে একজন ফোন করে ওর (হাবিব) আহত হওয়ার খবর দেয়। দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে দ্রুতই হাসপাতালে আসি।এখন কী করব বুঝতে পারছি না।”
শিপ ব্রেকিং ইর্য়াড এস এন করপোরেশন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিএ) সদস্য। প্রতিষ্ঠানটির সচিব নাজমুল ইসলাম বলেন, “এটি গ্রিন ইয়ার্ডভুক্ত। কেন দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি।”
করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী বরকত উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইয়ার্ডে সব নিয়ম এবং সেফটি সিকিউরিটি মেনেই জাহাজ ভাঙার কাজ হয়। যেটি ভাঙা হচ্ছিল সেটির সব ধরনের কাগজপত্র ছিল। বিস্ফোরণ কেন হল সেটি আমরা এখনও জানি না।”
বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত সকল শ্রমিক-কর্মচারীর চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানেই করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে আটজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।”