চৈত্র সংক্রান্তি থেকে শুরু এ উৎসব চলবে সোমবার পর্যন্ত।
জাতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলন শুরু শুক্রবার
এবারের সম্মেলন উৎসর্গ করা হয়েছে উস্তাদ আয়েত আলী খাঁকে
Published : 1 Feb 2023, 02:00 PM
Updated : 1 Feb 2023, 02:00 PM
সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত পরিষদ বাংলাদেশ-এর আয়োজনে আগামী শুক্র ও শনিবার অনুষ্ঠিত হবে ২৬তম জাতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলন ২০২৩।
এবারের সম্মেলন উৎসর্গ করা হয়েছে উস্তাদ আয়েত আলী খাঁকে।
বুধবার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাজীব দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে পাঁচটি অধিবেশনের মধ্যে রয়েছে- উদ্বোধন পর্ব, উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিবেশন, প্রভাতী অধিবেশনে শিশু-কিশোর পর্ব ও সেমিনার।
“এবারের সম্মেলনে দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য শিল্পীরা উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিবেশন করবেন।”
৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় উদ্বোধনপর্বে প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা এবং উদ্বোধক হিসাবে থাকবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার।
দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হবে উচ্চাঙ্গ সংগীতানুষ্ঠান।
৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার তৃতীয় ও প্রভাতী অধিবেশনে সকাল ৯টায় শুরু হবে শিশু-কিশোরদের উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিবেশনা।
চতুর্থ অধিবেশনে সেমিনারে ‘তবলার একক বাদন ও সঙ্গত’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন পণ্ডিত শ্যামল দেব, আলোচক হিসাবে থাকবেন পণ্ডিত সুভাষ কান্তি দাস।
পঞ্চম অধিবেশনে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে উচ্চাঙ্গ সংগীতানুষ্ঠান।
উৎসবে উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিবেশন করবেন - ত্রিপুরার পণ্ডিত শ্যামল দেব (তবলা), দিল্লীর পণ্ডিত সুভাষ কান্তি দাস (তবলা), রাজশাহীর আলমগীর পারভেজ সুমন (কণ্ঠ), যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত পারমিতা দাশ মুমু (কণ্ঠ), ঢাকার দিপ্তী সমাদ্দার দিপু (কণ্ঠ), পশ্চিমবঙ্গের দিপ্তনীল ভট্টাচার্য (সরোদ), কুমিল্লার ফারুক আহম্মেদ (কণ্ঠ), খুলনার জ্যোতি ব্যানার্জী (সেতার), চট্টগ্রামের প্রমিত বড়ুয়া (কণ্ঠ), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশান্ত ভৌমিক (তবলা), এবং চট্টগ্রামের রাজীব চক্রবর্ত্তী (তবলা), সানি দে (তবলা), ফাল্গুনী বড়ুয়া অলি (হারমোনিয়াম), অপরাজিতা চৌধুরী (বেহালা), মো. হোসাইন চিশতী (তবলা লহড়া), অনিন্দ্য দে (তবলা লহড়া), মনস্বিতা দে (কণ্ঠ) ও আদৃতা রুদ্র (কণ্ঠ)।
উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
এ সম্পর্কিত খবর
'সরলতার প্রতিমা’ ও ‘ফেরানো গেল না তাকে’র মত গানের শিল্পী খালিদ সোমবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এবারের উৎসবে নজরুলের ১৯৮টি গান আনুষ্ঠানিকভাবে ইউটিউবে প্রকাশ করা হবে।
'গানকে ভালোবাসে সে। নিজ জেলার অনেক অনুষ্ঠানেই তাকে গান গাইতে দেখা যায়। রবীন্দ্র সংগীত, নজরুলগীতি কিংবা লোকসংগীত- তার কণ্ঠে যেন সবই মানিয়ে যায়।'
