চট্টগ্রামের পাশাপাশি অন্যান্য জেলাতেও অবৈধ আইপিটিভির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Published : 28 Jun 2023, 10:55 PM
সরকারের পতনে বিএনপি যে এক দফা আন্দোলনের কথা বলে আসছে, তাতে পাত্তা দিতে চাইছেন না আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, “যত কথাই বলুক না কেন আগামী নির্বাচনেও বিএনপিকে আসতে হবে। আশা করব, ২০১৮ সালের মত গাধার জল ঘোলা করে খাওয়ার মত করে নয়, এবার আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েই নির্বাচনে আসবে। বিএনপির এক দফার আন্দোলন কতটুকু হবে বা সেটি করতে গেলে- আমাদের কী করতে হবে, সেটিও আমাদের জানা আছে।
“বিএনপি ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে দোতারার সুরের মতো করে এক দফার আন্দোলন আমরা সবসময় শুনতে পাচ্ছি। ওনারা কতটুকু আন্দোলন করতে পারবেন, সেটা আমরা জানি। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব আমরা দেখেছি। সেটি সামাল দিয়ে সরকার পাঁচ বছর টিকেছে।"
বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভিন্ন সংস্থার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ঈদের পর ‘সর্বশক্তি’ দিয়ে সরকার পতনে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “২০১৮ সালে গাধার জল ঘোলা করে খাওয়ার মতো করে বিএনপি নির্বাচনে এসেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের ভিত জনগণের গভীরে প্রোথিত। আওয়ামী লীগ সরকারকে ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপিই ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাবে।"
আইপি টিভির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে নাকি দু-একদিন পর আবার আগের মতোই চলবে, এ প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন দ্রুততার সাথে এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করেছে। অন্যান্য জেলাতেও শুরু হয়েছে, সারাদেশেই এটি করা হবে।
“ইউটিউব চ্যানেল অবশ্যই যে কেউ চালাতে পারে, কিন্তু ইউটিউব চ্যানেলের নাম দিয়ে চাঁদাবাজি করা, একেবারে একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসা এবং সেখানে কোনো নিউজ করতে গেলে এত টাকা দিতে হবে, সেটি আবার চিঠি দিয়ে জানানো, রেট করে দেওয়া, এগুলো তো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।"
হাছান বলেন, “সরকারের যে সম্প্রচার এবং কেবল অপারেটিং নীতিমালা আছে, সেই নীতিমালার লঙ্ঘন করে তো কেউ কিছু করতে পারে না। যারা নীতিমালা লঙ্ঘন করছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং আমরা চিঠি দিয়েছি সারাদেশেই এই অভিযান চলবে। কোনো কোনো জেলায় ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ঈদের পর অনেক জেলায় শুরু হবে।"
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা জানেন চট্টগ্রাম শহরে মেট্রোরেল স্থাপনের জন্য ফিজিবিলিটির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আমরা সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে আজকের সমন্বয় সভায় আলোচনা করেছি।
“বিশেষ করে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসহ অন্যান্য সকল প্রকল্প নিয়ে আমরা আজকে আলোচনা করেছি। আন্তঃসংস্থার মধ্যে কিছু সমন্বয়ের অভাব সবসময় থাকে, এটা স্বাভাবিক। সেই সমন্বয়টা যাতে হয় এবং একে অপরের চাহিদা যাতে মেটাতে পারে সেটি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।"
জঙ্গল সলিমপুরকে অবৈধ বসতিমুক্ত করার জন্য সভায় আলোচনা হয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “সেখানে যারা বসবাস করছেন, কেউ গৃহহীন থাকবে না। সেখানে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ স্বল্পমূল্যে ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করবে। সে বিষয়ে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে।”
এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।