১৯৭৪ সাল থেকে চট্টগ্রামে এ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়ে আসছে।
Published : 16 Sep 2024, 02:19 PM
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে জশনে জুলুস বা আনন্দ শোভাযাত্রা।
প্রতিবছরের মতো এবারও এ শোভাযাত্রা ব্যবস্থাপনা করে আনজুমানে রহমানিয়া সুন্নীয়া ট্রাস্ট।
সোমবার নগরীর মুরাদপুরের ‘আলমগীর খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া’ (জামেয়া আহমেদিয়া সুন্নীয়া মাদ্রাসার মাঠ) থেকে এ শোভাযাত্রা শুরু হয়। নগরীর বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে সেখানে আবার গিয়ে শেষ হয়। এবারের শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ।
হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)। তার শাহাদৎ বার্ষিকীও একই দিনে। হিজরি পঞ্জিকা অনুযায়ী এ দিনটিকে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকেন বাংলাদেশের মানুষ। সরকারি ছুটিও থাকে এদিন।
১৯৭৪ সাল থেকে চট্টগ্রামে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে এ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়ে আসছে। যেখানে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ অংশ নেন।
সোমবার শোভাযাত্রা শুরুর আগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ লাখ মানুষ জড়ো হয় মুরাদপুরের জামেয়া আহমেদিয়া সুন্নীয়া মাদ্রাসার মাঠে, যা মুরাদপুর হয়ে বহদ্দারহাট পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন পায়ে হেঁটে ট্রাকে করে অংশ নেন ঐতিহ্যবাহী এ শোভাযাত্রায়।
জুলুসকে কেন্দ্র করে মোড়ে মোড়ে অনেকেই ব্যবস্থা করেন পানি ও শরবতের। আবার অনেকেই বিতরণ করেন চকলেট।
রোববার রাত থেকেই নগরীর বিভিন্ন মসজিদ ও মোড়ে মোড়ে করা হয় আলোকসজ্জা। নির্মাণ করা হয় তোরণ। সড়ক বিভাজকসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে জাতীয় পতাকা, আনজুমানের পতাকা, ফেস্টুন লাগানো হয়েছে।