সাজাপ্রাপ্তদের বেশিরভাগ ছাত্রলীগ কর্মী।
Published : 28 Oct 2024, 07:08 PM
‘অপরাধমূলক কাজে’ যুক্ত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৭৫ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী।
আরও ১১ শিক্ষার্থীকে ‘শাস্তি’ হিসেবে তাদের অভিভাবককে মুচলেকা দিতে হবে।
এই মোট ৮৬ জনের মধ্যে ১৪ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং ১৭ জন বিডিএস এর শিক্ষার্থী।
অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভাশেষে সোমবার কলেজের অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দিন ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক তসলিম উদ্দিনের স্বাক্ষরে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ জনকে দুই বছরের জন্য, ১৫ জনকে দেড় বছরের জন্য, ৩৯ জনকে এক বছরের জন্য, ১৪ জনের জন্য ৬ মাসের বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।
শাস্তিপ্রাপ্তদের বেশিরভাগ সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ছাত্রাবাসে অবৈধ অনুপ্রবেশ, অবৈধভাবে কক্ষ দখল, মারধর,, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে’ যুক্ত থাকা, অঙ্গীকার ভঙ্গ এবং শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ এনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে গত ১১ সেপ্টেম্বর করা ১২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এ শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
“যাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ১৪ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকের শাস্তি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করবে।”
৫ অগাস্টের অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. হাসানুজ্জামানকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল।
এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।