“কিন্তু পাকিস্তানে হানাহানি হচ্ছে, এখনো সরকার গঠন করতে পারতেছে না। ওইখানে কোনো মানবাধিকার নাই, ওইখানে নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর শিক্ষার কী অবস্থা?” বলেন তিনি।
Published : 15 Feb 2024, 09:55 PM
গণতন্ত্রের প্রশ্নে কূটনীতিকরা ‘দ্বিচারিতা’ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেছেন, “কদিন আগে একজন অ্যাম্বাসেডর আমাকে বললেন, তোমাদের গণতন্ত্রের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া উচিত। তো আমি আমার মত করে ব্যাখ্যা দিলাম।
“গত দুদিন আগে এক প্রোগ্রামে তার ডেপুটির সাথে আমার দেখা। আমি বললাম, ‘পাকিস্তানের নির্বাচন কেমন হলো?’ বলে, ‘উহু’, এটা নিয়ে কথা বলতে চায় না। আমি বললাম, যে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই পাকিস্তান নিয়ে কথা বলতে চায় না। আমাদের গণতন্ত্র নিয়ে আপনাদের মাথাব্যথা।”
বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, “পাকিস্তানের গণতন্ত্র নিয়ে কিন্তু আমি হোয়াইট হাউজের কথা বলতে শুনি নাই, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে কথা বলতে শুনি না। আমি জানি না আপনারা শুনছেন কি না।
“ইউরোপীয় ইউনিয়ন, হোয়াইট হাউজ, পরাশক্তির মাথাব্যথা নাই। মাথাব্যথা খালি আমার দেশের উন্নয়ন নিয়ে। আমার দেশের গণতন্ত্র নিয়ে। আমাদের এখানের ভোট নিয়ে। কিন্তু পাকিস্তানে হানাহানি হচ্ছে, এখনো সরকার গঠন করতে পারতেছে না। ওইখানে কোনো মানবাধিকার নাই, ওইখানে নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর শিক্ষার কী অবস্থা?”
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সেখানে এখনো রেজাল্ট ডিক্লেয়ার করতেছে না। আর আমাদের যেদিন হইছে, কেন্দ্রে কেন্দ্রে রেজাল্ট ডিক্লেয়ার করা হয়েছে। তাও টক শোতে বিভিন্ন পন্ডিতরা কথা বলেন।
“কথাটা বলার উদ্দেশ্য যে, উন্নয়নটা দেখতে হবে। মানুষের যে পরিবর্তন। আমাদের দেশের বাড়িতে, আমি টাঙ্গাইলে বড় হয়েছি। সেখানে মানুষ কিন্তু খুদের ভাত খাইছে। তিন বেলা ভাত ছিল না। মানুষ একবেলা গম বাধ্য হয়ে খাইছে। কালকে একজন বলছিল, আগে যারা রুটি খেত বাধ্য হয়ে, আজকে তারা ভাত খায়। আর আগে যারা ভাত খাইতো, তারা ডায়বেটিসসহ বিভিন্ন রোগে রুটি খায় আরকি।”
টিটু বলেন, “সো আমাদের কিন্তু এই পরিবর্তন হইছে। একজন দিনমজুর যে ডেইলি কাজ করে, সে একদিনের মজুরি দিয়ে কয় কেজি চাল কিনতে পারে? আর স্বাধীনতার পর থেকে ১০ বছর ধরে কয় কেজি পারত?”
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এইচ এম শফিকুজ্জামান, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল বশর।