রেলওয়ে কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৫

তারা এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2022, 02:48 PM
Updated : 22 Nov 2022, 02:48 PM

রেলওয়ে কর্মকর্তা পরিচয়ে নিলাম পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে চট্টগ্রামের পুলিশ।

ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে বন্দরনগরীর খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা জানান।

গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- নুরুল হক নুরু (৬০), আব্দুল গফুর (৬৪), নাদেরুজ্জামান নাদু (৬৫), আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে শাহাদাত (৪৮) ও মোজাহেরুল হক মুকুল (৫২)।

তাদের মধ্যে নাদেরুজ্জামানকে ঢাকার খিলগাঁও, মুকুলকে চট্টগ্রামের আকবর শাহ ও অন্যদের ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি সন্তোষ কুমার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা রেলওয়ে কর্মকর্তা পরিচয়ে পুরাতন মালামালের ক্রেতাদের রেলওয়ের গুদামে নিয়ে যেতেন। পরে ওইসব মালামাল কিনে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিতেন। তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ছাড়াও ঢাকা এবং নীলফামারীর সৈয়দপুর থানায় মামলা আছে।

“চট্টগ্রামের এক পুরাতন ব্যাটারি বিক্রেতাকে রেলওয়ের পরিত্যক্ত ব্যাটারি নিলামে নিয়ে দেওয়ার কথা বলে গত ২৮ ও ২৯ মে দুই দফায় পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। পরে তাদের সন্ধান না পেয়ে আবু নাছের মো. গোলাম রসুল নামে ওই ব্যবসায়ী খুলশী থানায় মামলা করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।”

গোলাম রসুলের করা মামলায় বলা হয়, গত ২৬ মে অচেনা এক ব্যক্তি তাকে ফোন করে ব্যাটারি বিক্রির প্রস্তাব দেন, সেগুলো কিনতে তাকে নগরীর টাইগার পাস এলাকায় যেতে বলেন। ওই ব্যক্তির কথায় ২৮ মে তিনি টাইগারপাস এলাকায় যান। সেখানে প্রতারকদের কয়েকজন অটোরিকশায় করে তাকে আমবাগান এলাকায় রেলওয়ের পরিত্যক্ত একটি স্থানে নিয়ে কিছু ব্যাটারি দেখান।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওইসব ব্যাটারির প্রতিটি ৩০০ টাকা করে মোট নয় লাখ টাকায় বিক্রির কথা বলেন প্রতারকরা। ২৮ মে তারা ৫০ হাজার টাকা নেন। পরদিন তারা রসুলকে সিআরবি এলাকায় নিয়ে নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা ও ব্যবসায়িক বিভিন্ন কাগজপত্র নেন। আর বাকি টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধের কথা বলে উধাও হয় প্রতারকরা।

ওসি সন্তোষ চাকমা বলেন, “নুরুল হক নুরু ও গফুর নিজেদের রেলওয়ে কর্মকর্তা পরিচয় দেন। প্রতারক চক্রটি পুরাতন মালামাল বিক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করে পোড়া মবিল, স্ক্র্যাপ মালামালসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিলামে নিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়।

“ব্যবসায়ীরা তাদের কথায় আশ্বস্ত হলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে প্রতারকরা।”