“তারা সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বিভাজনের মাধ্যমে সবসময় দেশ অস্থিতিশীল করে রাখার চেষ্টা করেছে,” বলেন তিনি।
Published : 11 Sep 2024, 07:26 PM
আওয়ামী লীগ বিভাজনের মাধ্যমে জনগণের বিরুদ্ধে শোষণের রাজনীতি করে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে বিভাজনের রাজনীতি। তারা সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বিভাজনের মাধ্যমে সবসময় দেশ অস্থিতিশীল করে রাখার চেষ্টা করেছে। হিন্দুদের সবচেয়ে ক্ষতি আওয়ামী লীগই করেছে।
“শেখ মুজিব ১৯৭৩ সালের ৩ মার্চ সেহারাওয়ার্দী উদ্যানের সৌন্দর্য বর্ধনের কথা বলে রমনা মন্দির গুড়িয়ে দিয়েছিল। আমি এটি শতভাগ সত্য কথা বলছি। এ বিষয় নিয়ে আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারব। আমার বাড়িতে হামলা হয়েছিল আওয়ামী লীগের সময়। থানায় যাওয়া হল মামলা করতে। পুলিশ মামলা নেয়নি। কারণ কী? কারণ হচ্ছে হিন্দু হয়ে আমি কেন বিএনপি করি।”
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামে রাধা অষ্টমীর অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন এ বিএনপি নেতা।
বিএনপি নেতাকর্মীরা দেড় দশক ধরে মামলা ও নির্যাতনের শিকার হলেও কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।
তার ভাষ্য, “আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। গত ১৫ বছর কত মামলা, কত নির্যাতন করা হল। বিএনপি নেতাকর্মীরা কষ্ট করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এদেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। এটিই হচ্ছে দেশ ও জনগণের প্রতি বিএনপির কমিটমেন্ট।
“…কিন্তু ৫ অগাস্ট পরবর্তী আওয়ামী লীগের কাউকে মারা হয়েছে? তারা সাধারণ মানুষের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে। কারণ তাদের রাজনীতি ছিল জনগণের বিরুদ্ধে এবং শোষণের রাজনীতি।”
গয়েশ্বর বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন বলে তিনি এত বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু একটি দলের নেত্রীকে জনরোষে পালিয়ে যেতে হয়েছে।”
দেড় দশক ধরে দেশের সবকিছু একটি পরিবারকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছিল বলে মন্তব্য করেন এ বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, “ছাত্র-জনতাকে পাখির মত গুলি করে মারা হয়েছে। গত ১৫ বছর মানুষ কথা বলতে পারেনি, ভোট দিতে পারেনি। সবকিছু একটি দল এবং একটি পরিবারকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছিল।
“১৫ বছরে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। কার টাকা পাচার করা হল, আমার আপনার টাকা পাচার করা হল। কারা করল? সব অপরাধের শাস্তি তাদের পেতে হবে। বিচার এই বাংলাদেশের মটিতে হবে।”
অনুষ্ঠানের বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি স্মৃতি সংসদের সহসভাপতি স্বপন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার অশোক কুমার নাথ, পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী উপস্থিত ছিলেন।