চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বরেছেন, দ্রুতই নাগরিক সেবা পূর্বাবস্থায় ফেরাতে কাজ চলছে।
Published : 12 Aug 2024, 09:59 PM
গণআন্দোলনের মুখে সরকারের পতনের পর থেকে অফিস করছেন না আওয়ামী লীগ সমর্থিত চট্টগ্রামের সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
গত ছয়দিন ধরে মেয়র ও বেশিরভাগ ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে না আসায় নগর ভবনের কার্যক্রম স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা।
ক্ষমতার পালাবদলের পর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এছাড়া মেয়র জোউল করিমের বাসভবনেও দুই দফা হামলা হয়।
এসব হামলার ঘটনায় সাড়ে চার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলররা কার্যালয়ে না গেলেও ওয়ার্ড সচিবরা যাচ্ছেন এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছেন।
একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ৪১টি সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্যালয়ের মধ্যে ৩২টি হামলার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি সাধারণ এবং ৫টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়।
নয়টি ওয়ার্ডে হামলার ঘটনা ঘটেনি এবং বাকি ১৪টিতে হামলার ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য মেলেনি।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “আমাদের সচিবালয় বিভাগ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সচিবদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব করা হয়েছে।
“প্রতিটি ওয়ার্ড কার্যালয়ে নাগরিক সেবা দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে কী না তা মনিটর করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নগরীর পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম, রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রম চালু হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে৷ দ্রুতই নাগরিক সেবা পূর্বাবস্থায় ফেরাতে কাজ চলছে।