চট্টগ্রামে হিন্দু ধর্মালম্বীদের রথযাত্রা উপলক্ষে ৯ দিনের আয়োজন

মঙ্গলবার নগরীর ডিসি হিল থেকে রথযাত্রা শুরু হয়ে ২৮ জুন উল্টো রথের মধ্য দিয়ে উৎসব শেষ হবে।

চট্টগ্রামের শ্রী শ্রী গৌতম আশ্রমে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গৌর নিতাই আশ্রমের অধ্যক্ষ পণ্ডিত গধাদর দাস ব্রহ্মচারী।

ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামে নানা আয়োজনে এবারও রথযাত্রা উৎসব শুরু হচ্ছে।

আগামী মঙ্গলবার নগরীর নন্দনকানন ইসকন মন্দির, তুলসীধাম ও প্রবর্তক ইসকন মন্দিরে পৃথক আয়োজনে হিন্দু সম্প্রদায়ের এ উৎসব পালন করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এ উপলক্ষে সেদিন থেকে নয় দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে নগরীর শ্রী শ্রী গৌর নিতাই আশ্রমে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ওইদিন নগরীর ডিসি হিল থেকে রথযাত্রা শুরু হবে। ২৮ জুন উল্টো রথের মধ্য দিয়ে নয়দিনের অনুষ্ঠান শেষ হবে। ডিসি হিল ছাড়াও নগরীর জে এম সেন হলে প্রতিদিন ধর্মীয় আলোচনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে।

লিখিত বক্তব্যে শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির ও গৌর নিতাই আশ্রমের অধ্যক্ষ পণ্ডিত গধাদর দাস ব্রহ্মচারী রথযাত্রার দিন সরকারি ছুটি ঘোষণাসহ বিলুপ্তপ্রায় মন্দির স্থাপনা, স্মৃতিস্থান ও তীর্থস্থানগুলো রক্ষার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা কমিটির সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে নগরীর নন্দনকাননের তুলসীধাম থেকে আলাদা রথযাত্রা বের হবে। কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উৎসব উদযাপন কমিটির ব্যানারে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৫টির মতো পৃথক রথ একসঙ্গে যুক্ত হবে।

এ উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভা শনিবার তুলসী ধামের মহারাজ দেদীপ মিত্র চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে রথযাত্রার দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা এবং সাম্প্রদায়িক নির্যাতন বন্ধের দাবি জানানো হয়।

এছাড়া শনিবার সকালে রথযাত্রা উপলক্ষে প্রবর্তক শ্রীকৃঞ্চ ইসকন মন্দিরের উদ্যোগে পৃথক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃঞ্চ দাস ব্রহ্মচারী।

প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের উদ্যোগেও নগরীর প্রবর্তক মন্দির থেকে পৃথক রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে অতীতে হওয়া সব সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে করার দাবি জানানো হয়।