পাকিস্তানের লেগ স্পিনার উসমান কাদিরের মতে, এই সম্পর্ক উল্টো চাপ বাড়িয়ে দেয়।
Published : 19 Aug 2023, 04:02 PM
অনূর্ধ্ব-১৫ দলের ট্রায়াল দেওয়ার সময় থেকে বাবর আজমের সঙ্গে পরিচয় উসমান কাদিরের। সময়ের পরিক্রমায় দুজনের সম্পর্ক গড়িয়েছে বন্ধুত্বে। তবে পাকিস্তান অধিনায়কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা যে খুব উপকারে এসেছে কাদিরের, তা কিন্তু নয়। এই লেগ স্পিনার বললেন, উল্টো ‘ক্ষতিই’ বেশি হয়েছে তার।
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের দৈর্ঘ্য প্রায় একই হলেও জাতীয় দলে কাদিরের আগে জায়গা করে নেন বাবর। ২০১৫ সালের মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক আঙ্গিনায় পা রাখেন তিনি। নিজের শক্তি-সামর্থ্য, স্কিলের প্রদর্শনী দেখিয়ে এখন সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন বাবর।
তিনি এখন পাকিস্তানের তিন সংস্করণের অধিনায়কও। ২০১৯ সালে পাকাপাকিভাবে তার কাঁধে তুলে দেওয়া হয় টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব। পরের বছর পেয়ে যান ওয়ানডে ও টেস্টের অধিনায়কত্বও।
সেই তুলনায় কাদিরের যাত্রাটা ছিল বেশ ধীরগতির। অবশেষে বাবরের নেতৃত্বেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক হয় ২০২০ সালের নভেম্বরে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে। তবে দলে কখনোই নিয়মিত হতে পারেননি তিনি।
উসমান কাদিরের আরেকটি বিশেষ পরিচয়ও আছে; পাকিস্তানের কিংবদন্তি লেগ স্পিনার আব্দুল কাদিরের ছেলে। বাবার মতো তিনিও লেগ স্পিনার। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ২৩ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন, ১৯.০৬ গড়ে শিকার ধরেছেন ২৯টি।
২০২১ সালের এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচটি খেলেন উসমান কাদির।
ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৩০ বছর বয়সী কাদির স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, তার জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পেছনে ‘বন্ধু’ বাবরের কোনো হাত ছিল না।
“বাবরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আজ থেকে নয়- যখন আমরা দুইজন অনূর্ধ্ব-১৫ দলের ট্রায়াল দিয়েছিলাম, তখন থেকে। বাবর অধিনায়ক হওয়ার পরই আমি দলে প্রথম সুযোগ পাই। তবে তার মানে এই নয় যে, সে আমাকে দলে নিয়েছে। আমাকে দলে এনেছিলেন মিসবাহ-উল-হাক। আগেও বলেছি, বাবর আমাকে দলে নেয়নি এবং কেন নেবে সে? এটা তার দল নয়-এটা পাকিস্তান দল। এমনকি বাবর নিজেও একথা স্বীকার করেছে।”
বাবরের সঙ্গে বন্ধুত্ব উসমান কাদিরকে কোনো বাড়তি সুবিধা দেয়নি। তার মতে, উল্টো বাড়তি চাপে থাকতে হয় তাদের দুজনকেই।
“(আমার দলে আসার কারণ হিসেবে) বাবর ও আমার বন্ধুত্ব নিয়ে যদি কথা বলা হয়, তাহলে বলব, আমার কখনই দলের বাইরে থাকার কথা ছিল না। আসলে বাবরের সঙ্গে বন্ধুত্ব আমার উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করেছে, কারণ এটা আমাদের উভয়ের ওপরই সমানভাবে বাড়তি চাপ যোগ করেছে।”