‘হাসিমুখে’ চ্যালেঞ্জ জিতে ফাইনালে ইংল্যান্ড

স্বপ্ন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। শঙ্কা সেমি-ফাইনালের আগেই ছিটকে যাওয়ার! বিশ্বকাপ অভিযানে একটা সময় এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল ইংল্যান্ড। ওয়েন মর্গ্যান তখন বলেছিলেন, আতঙ্কিত না হয়ে, মুখে হাসি নিয়ে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগোতে চায় তার দল। সেভাবেই এগিয়ে ইংল্যান্ড পা রেখেছে ফাইনালে। দল যেভাবে সাড়া দিয়েছে চাপের মুহূর্তে, তাতে খুশি অধিনায়ক।

বার্মিংহাম থেকে অরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2019, 06:47 PM
Updated : 11 July 2019, 07:22 PM

বিশ্বকাপের শুরুটা ফেভারিটের মতোই করেছিল ইংল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে শুরুর পর তারা এগিয়ে যাচ্ছিল অপ্রতিরোধ্য গতিতে। কিন্তু থমকে যেতে হয় শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে। পরের ম্যাচে হেরে যায় তারা অস্ট্রেলিয়ার কাছেও। 
 
টানা দুই ম্যাচ হারের পর খানিকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল সেমি-ফাইনাল। বার্মিংহামে ভারতের কাছে হারলে তারা চলে যেত বাদ পড়ার দুয়ারে। কিন্তু প্রাথমিক পর্বের শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও নিউ জিল্যান্ডকে দাপটের সঙ্গে হারিয়ে তারা জায়গা করে নেয় সেমি-ফাইনালে। 
 
সেমি-ফাইনালেও ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। অস্ট্রেলিয়া শুধু বর্তমান চ্যাম্পিয়নই নয়, আগে সাতবার সেমি-ফাইনাল খেলে হারেনি কখনও। মর্গ্যানের দল সেই চ্যালেঞ্জও জিতে নিল হেসেখেলে।
 
হাসিমুখে চ্যালেঞ্জকে আলিঙ্গন করার যে অঙ্গীকার, সেটিই কি পূরণ করে চলেছে ইংলিশরা? ইংল্যান্ড অধিনায়কের উত্তরে ফুটে উঠল সন্তুষ্টি।
 
“আমার মনে হয় আমরা পারছি, অবশ্যই। মাঠে সবাইকে দেখেছেন, এমনকি ড্রেসিংরুমেও সবাই প্রতিটি বলে সম্পৃক্ত থেকেছে, উপভোগ করেছে। প্রতিজ্ঞা, নিবেদনের কোনো কমতি ছিল না। বিশেষ করে বোলাররা যখন এমন বোলিং করে, সবকিছুই তখন দারুণ হয়ে ওঠে।”
 
গত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের পর ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে নিজেদের চিরায়ত দৃষ্টিভঙ্গি ও ধরন পাল্টে ফেলে ইংল্যান্ড। গত চার বছর ধরে যে সাফল্যের পথ ধরে এগিয়েছে, যেভাবে নিজেদের প্রস্তুত করেছে, বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠা তারই একটি পুরস্কার। তবে মর্গ্যান বেশি খুশি বিশ্বকাপের মাঝ পর্যায়ের বিপর্যয় থেকে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দল।

“যথেষ্ট ভালো লাগছে, খুব ভালো অনুভব করছি (ফাইনালে উঠে)। গত তিন ম্যাচের পারফরম্যান্স, আমরা দল হিসেবে ক্রমেই ভালো থেকে আরও ভালো করেছি। এটিই গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টের আগে আমরা এটিই আলোচনা করেছি যে সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে উঠতে হলে নিজেদের ছাড়িয়ে যেতে হবে প্রতি ম্যাচেই।”
 
“আগের দুই ম্যাচে যেমন পারফরম্যান্স ছিল, আমার মনে হয় আজকে সেখান থেকে আরেক ধাপ এগিয়ে যেতে পেরেছি। এটা করাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
 
শিরোপা জয়ের পথে শেষ ধাপে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড। রোববার লর্ডসে ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল। মর্গ্যান জানালেন, ফাইনালের জন্য প্রবলভাবে মুখিয়ে আছে তার দল।
 
“রোববার দিনটি নিজেদের আড়াল করে রাখার নয়। আজকের ম্যাচের মতোই সেই ম্যাচের জন্য মুখিয়ে থাকব আমরা। বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলার সুযোগ আমরা সৃষ্টি করেছি। আজকের মতোই সেদিন আমাদের সামর্থ্যের সবটুকু উজার করে দিয়ে চেষ্টা করব, পাশাপাশি উপভোগও করব।”