সতীর্থরা আস্থা রাখায় খুশি আর্চার

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অভিজ্ঞতা মোটেও বেশি নয়। তারপরও বিশ্বকাপের ফাইনালে সুপার ওভারে জফরা আর্চারের হাতে বল তুলে দেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ম্যাচের এমন পরিস্থিতিতে সতীর্থরা আস্থা রাখায় ভীষণ খুশি ডানহাতি এই পেসার। ক্যারিয়ারে খুব অল্প সময়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে উচ্ছ্বসিত ইংলিশ এই পেসার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2019, 01:41 PM
Updated : 15 July 2019, 01:41 PM

রোববার শিরোপা লড়াইয়ে লর্ডসে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা নিউ জিল্যান্ড ৮ উইকেটে তুলেছিল ২৪১ রান। শেষ বলে রান আউটে অলআউট হয়ে ইংল্যান্ডও থামে ২৪১ রানে। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

বয়সে দলের সবচেয়ে ছোট, তারওপর ফাইনালের আগে মাত্র ১৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল আর্চারের। তারপরও সুপার ওভারে বোলিংয়ে দায়িত্ব পান তিনি। ওয়াইড বল দিয়ে শুরু করা আর্চার পরের বলে হজম করেন ছক্কা। তবে শেষ পাঁচ বলে জিমি নিশাম ও মার্টিন গাপটিলকে আর কোনো বাউন্ডারি হাঁকানোর সুযোগ দেননি। সুপার ওভারে ইংল্যান্ডের সমান ১৫ রান তোলে নিউ জিল্যান্ড। মোট বাউন্ডারির হিসেবে এগিয়ে থেকে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতে স্বাগতিকরা।

গত মার্চে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন ২৪ বছর বয়সী আর্চার। প্রাথমিকভাবে ছিলেন না বিশ্বকাপের দলে। মে মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে ভালো করায় মাত্র তিনটি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব মঞ্চে সুযোগ পান বার্বাডোজে জন্ম নেওয়া এই গতিময় পেসার।

সুপার ওভারে বল করার আগে দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা তাকে সাহস জুগিয়েছিলেন বলে জানান আর্চার। ২০১৬ সালে কলকাতায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষ ওভারের প্রথম চার বলেই ছক্কা হজম করা স্টোকস তার অভিজ্ঞতা থেকে তরুণ সতীর্থকে অনুপ্রেরণা জোগান বলেও জানান তিনি।

“যদি আমরা আজকে হারতাম, আমি জানি না যে আগামীকাল আমি কি করতাম। কিন্তু বেন স্টোকস আমাকে ওভারটির আগে বলেছিল, ‘আমরা জিতি কিংবা হারি, আজকের ম্যাচ তোমার নির্ণায়ক হবে না। তোমার ওপর সবার বিশ্বাস আছে।’ কলকাতার ঘটনার কারণে তিনি আমার সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন। সম্ভবত তিনিও একই রকম অনুভূতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। তবে তিনি ছিলেন হেরে যাওয়া দলে।”

“আমার ওপর অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যানের বিশ্বাস ছিল, এমনকি ওই ছক্কার পরও। এমন সময় অনেক অধিনায়ক হতাশ হয়ে পড়েন কিন্তু তিনি ছিলেন ভীষণ শান্ত।”

“জো রুটও আমার কাছে এসে কিছু অনুপ্রেরণাদায়ী কথা বলেছিলেন। তাই আমি জানতাম যে, যদি আমরা হেরেও যাই তাতে দুনিয়ায় সব কিছু শেষ হয়ে যেত না। তারা আমার ওপর আস্থা রাখায় আমি খুশি। এটা অসাধারণ একটা দল।”

“আমি আমার জীবনের সেরা দুটি মাস কাটালাম। আমার অভিষেক, আমার বিশ্বকাপ অভিষেক এবং দুই মাসের মধ্যে ফাইনালে খেলা। এটা সত্যি আমার কাছে বিশেষ কিছু। আশা করি, ১৫ বছর পর পেছন ফিরে তাকিয়ে বলতে পারব যে আমি এর অংশীদার ছিলাম।”