তার কথার আর ব্যাখ্যায় অবশ্য ফুটে উঠছে পুরো চিত্র। ক্রিকেটার সাকিবের নিবেদন, তার বোধ, দলের প্রতি তার ভালোবাসাও যেন স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তোলে তার কথাগুলি। নিজের আর দলের প্রাপ্তির দিক থেকে এবারের বিশ্বকাপে দুই প্রান্তে সাকিব। বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তিনি। ৬০৬ রান করার পাশাপাশি উইকেট নিয়েছেন ১১টি।
তবে সতীর্থদের সমর্থন খুব বেশি না পাওয়ায় সেমি-ফাইনালের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে দল। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারের পর বাংলাদেশ থেকে গেছে পয়েন্ট টেবিলের সাত নম্বরে। শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়াকে হারালে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ শেষ করতে পারে আট নম্বরে থেকে।
সাকিব নিজে অভাবনীয় পারফরম্যান্স করার পরও শেষ চারে জায়গা করে নিতে পারেনি তার দল। ধারাভাষ্যকার, বিশ্লেষক থেকে অনেকেই তাকে বলছেন দুর্ভাগা। তবে সাকিব নিজে সেই আলোচনায় খুব একটা উৎসাহী নন।
“এটা নিয়ে সেভাবে চিন্তা করি না (নিজেকে দুর্ভাগা মনে করেন কিনা)। অবশ্যই সেমি-ফাইনালে যাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ আমাদের ছিল। তবে সেসব নিয়ে তো আমি কখনোই চিন্তা করি না। রেকর্ড-টেকর্ড নিয়ে খেলার মানুষ আমি না।”
রেকর্ড নিয়ে তিনি খেলতে না চাইলেও তার খেলায় গড়া হয়ে যায় অনেক রেকর্ড। হয়েছে এই বিশ্বকাপেও। নিজের পারফরম্যান্সে তিনি সন্তুষ্টই। তবে নিজের প্রাপ্তির চেয়ে দলকে আক্ষেপে পুড়তে দেখার যন্ত্রণাই তাকে পেড়াচ্ছে বেশি।
“অবশ্যই আক্ষেপ আছে, দলের দিক থেকে। কারণ আমাদের লক্ষ্যই ছিল সেমি-ফাইনালে খেলা। লক্ষ্য যখন অর্জন হবে না, আক্ষেপ তো থাকবেই।”
“এটা নিয়ে আক্ষেপ নেই যে আমি পারফর্ম করলাম, দল পারল না। আক্ষেপ এটা নিয়ে যে দল হিসেবে খেলতে চেয়েছিলাম, সেটি আমরা পারলাম না। কিংবা বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটি ঠিকভাবে পূরণ করতে পারলাম না।”