শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বড় হার

বড় রান তাড়ায় লড়াই করলেন কেবল সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারকে ঘিরে ইনিংস গড়ে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। এর মাশুল দিতে হলো পাকিস্তানের কাছে ৯৪ রানে হেরে।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2019, 09:06 AM
Updated : 5 July 2019, 05:20 PM

বড় হারে শেষ বাংলাদেশের বিশ্বকাপ

চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা গড়তে পারেননি তেমন কোনো জুটি। সাকিব আল হাসান ছাড়া আর কেউ পারেননি দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে নিতে। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংকে গুঁড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তানকে ৯৪ রানের জয় এনে দিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।    

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩১৫/৯ (ফখর ১৩, ইমাম ১০০, বাবর ৯৬, হাফিজ ২৭, হারিস ৬, ইমাদ ৪৩, সরফরাজ ৩*, ওয়াহাব ২, শাদাব ১, আমির ৮, শাহিন ০*, মিরাজ ১০-০-৩০-১, সাইফ ৯-০-৭৭-৩, মুস্তাফিজ ১০-০-৭৫-৫, মাশরাফি ৭-০-৪৬-০, সাকিব ১০-০-৫৭-০, মোসাদ্দেক ৪-০-২৭-০)।

বাংলাদেশ: ৪৪.১ ওভারে ২২১ (তামিম ৮, সৌম্য ২২, সাকিব ৬৪, মুশফিক ১৬, লিটন ৩২, মাহমুদউল্লাহ ২৯, মোসাদ্দেক ১৬, সাইফ ০, মিরাজ ৬*, মাশরাফি ১৫, মুস্তাফিজ ১; হাফিজ ৬-১-৩২-০, আমির ৭-০-৩১-১, শাহিন ৯.১-০-৩৫-৬, ওয়াহাব ৭-০-৩৩-১, ইমাদ ৬-০-২৬-০, শাদাব ৯-০-৫৯-২)।

ফল: পাকিস্তান ৯৪ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: শাহিন শাহ আফ্রিদি

আফ্রিদির ৬ উইকেটে থামল বাংলাদেশ
 
মুস্তাফিজুর রহমানকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে থামালেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। বাঁহাতি এই পেসার নিলেন নিজের ষষ্ঠ উইকেট। 
 
দারুণ ইয়র্কার ঠেকানোর চেষ্টা করেও পারেননি মুস্তাফিজ। ৩ বলে ১ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৪৪ ওভার ১ বলে বাংলাদেশ ২২১ রানে।

স্টাম্পড মাশরাফি
 
দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। খেলছিলেন ঝুঁকি নিয়ে। কাল হয় সেটাই। লেগ স্পিনার শাদাব খানকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ফিরেন স্টাম্পড হয়ে। 
 
১৪ বলে দুই ছক্কায় ১৫ রান করেন মাশরাফি। ৪৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২০/৯। ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী মুস্তাফিজুর রহমান।

আফ্রিদির পঞ্চম শিকার মাহমুদউল্লাহ
 
দারুণ এক ইয়র্কারে মাহমুদউল্লাহকে বোল্ড করে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

গোল্ডেন ডাক সাইফ
 
আগের ম্যাচে লড়াকু ব্যাটিংয়ে ফিফটি করা মোহাম্মদ সাইফ এবার প্রথম বলেই আউট। বাংলাদেশ হারাল সপ্তম উইকেট।
 
শাহিন শাহ আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বাইরে বলে ড্রাইভ মাটিতে রাখতে পারেননি সাইফ। মিড অফে ক্যাচ মুঠোয় জমান মোহাম্মদ আমির।

উড়িয়ে মেরে আউট মোসাদ্দেক
 
সময়ের দাবি ছিল শট খেলার। সেই দাবি মেটাতে গিয়ে ফিরলেন মোসাদ্দেক হোসেন। বাংলাদেশ হারাল ষষ্ঠ উইকেট। 
 
লেগ স্পিনার শাদাব খানকে বেরিয়ে এসে ইনসাইড-আউটে ওড়াতে চেয়েছিলেন মোসাদ্দেক। টাইমিং করতে পারেননি। ক্যাচ মুঠোয় জমান বাবর আজম। ভাঙে ৪৩ রানের জুটি।

ফিফটি করে থামলেন সাকিব

ছন্দে থাকা সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে দিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

বাঁহাতি এই পেসারের বাড়তি গতির জন্য ঠিক মতো শট খেলতে পারেননি সাকিব। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে ক্যাচ জমা পড়ে সরফরাজ আহমেদের গ্লাভসে।

৭৭ বলে ছয় চারে ৬৪ রান করেন সাকিব। আসর শেষ করলেন ৬০৬ রান নিয়ে। বিশ্বকাপে এক আসরে এই অলরাউন্ডারের চেয়ে বেশি রান আছে কেবল ভারতের শচীন টেন্ডুলকার ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেইডেনের।

এক আসরে ১০ উইকেট ও ৬০০ রানের ডাবল অর্জন করা প্রথম ক্রিকেটার সাকিব। আর কারও ১০ উইকেট ও ৪০০ রানের ডাবলও নেই।  

৩৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৬১/৫। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেন।

থিতু হয়ে ফিরলেন লিটন

থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না লিটন দাস। শাহিন শাহ আফ্রিদির স্লোয়ারে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বাইরে স্লোয়ার ডেলিভারি বুঝতে পারেননি লিটন। শট খেলে ফেলেন আগেভাগে। কাভারে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান হারিস সোহেল।

৪০ বলে তিন চারে ৩২ রান করেন লিটন। ২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৯/৪। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী চোট কাটিয়ে ফেরা মাহমুদউল্লাহ।

সাকিবের আরেকটি ফিফটি

দারুণ ছন্দে থাকা সাকিব আল হাসান টানছেন বাংলাদেশকে। দাপুটে ব্যাটিংয়ে তুলে নিয়েছেন আসরে পঞ্চম ও ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪৭তম ফিফটি।

৬২ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করার পথে পাঁচটি বাউন্ডারি হাঁকান সাকিব। আসরে এটি তার সপ্তম পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। কেবল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই পঞ্চাশ ছুঁতে পারেননি। সেই ম্যাচে আউট হয়েছিলেন ৪১ রানে।

২৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১২৫/৩। সাকিব ৫১ ও লিটন দাস ২৬ রানে ব্যাট করছেন।  

বাংলাদেশের একশ

দ্রুত তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টানছেন সাকিব আল হাসান। আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডারকে সঙ্গ দিচ্ছেন লিটন দাস। তাদের ব্যাটে ২৩তম ওভারে তিন অঙ্কে গেছে বাংলাদেশের সংগ্রহ। দ্বাদশ ওভারে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল তাদের স্কোর।

২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১০৫। সাকিব ৪১ ও লিটন দাস ১৬ রানে ব্যাট করছেন।  

পারলেন না মুশফিক

চাপ থেকে বাংলাদেশকে অনেকবার উদ্ধার করা মুশফিকুর রহিম এবার পারলেন না। ওয়াহাব রিয়াজের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন মিডল অর্ডারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসা। 

বাঁহাতি পেসার ওয়াহাবের অ্যাঙ্গেলে বেরিয়ে যাওয়া বল কিপারের পাশ দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মুশফিক। ঠিক মতো পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্পস।

১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭৯/৩। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী লিটন দাস। 

বোল্ড তামিম, বিপদে বাংলাদেশ

শাহিন শাহ আফ্রিদির স্লোয়ার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন তামিম ইকবাল।

সাবধানী ব্যাটিং করছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। শট খেলছিলেন দেখেশুনে। খুব সতর্ক থাকার পরও বুঝতে পারেননি বাঁহাতি পেসার আফ্রিদির স্লোয়ার। স্ট্রেট ড্রাইভ করে বসেন আগেভাগেই, এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্পস।

২১ বলে ৮ রান করেন তামিম। ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪৯/২। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী মিডল অর্ডারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসা মুশফিকুর রহিম।

জীবন কাজে লাগাতে পারলেন না সৌম্য

শুরুতেই বেঁচে যাওয়া সৌম্য সরকার কাজে লাগাতে পারলেন না সুযোগ। ফিরে গেলেন মোহাম্মদ আমিরের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে।

বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি সৌম্য। পয়েন্টে চমৎকার ক্যাচ মুঠোয় জমান ফখর জামান।

আমিরের বলেই ৬ রানে জীবন পাওয়া সৌম্য ২২ বলে চারটি চারে করেন ২২ রান। ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৭/১। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী দারুণ ছন্দে থাকা সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশের সামনে ৩১৬ রানের লক্ষ্য

মুস্তাফিজুর রহমানের ৫ উইকেট ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের ৩ উইকেটের পরও তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়লো পাকিস্তান। ইমাম-উল-হকের সেঞ্চুরি ও বাবর আজমের ৯৬ রানের ওপর ভর করে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিলো সরফরাজ আহমেদের দল।  

৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১৫ রান করে পাকিস্তান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩১৬/৯ (ফখর ১৩, ইমাম ১০০, বাবর ৯৬, হাফিজ ২৭, হারিস ৬, ইমাদ ৪৩, সরফরাজ ৩*, ওয়াহাব ২, শাদাব ১, আমির ৮, শাহিন ০*, মিরাজ ১০-০-৩০-১, সাইফ ৯-০-৭৭-৩, মুস্তাফিজ ১০-০-৭৫-৫, মাশরাফি ৭-০-৪৬-০, সাকিব ১০-০-৫৭-০, মোসাদ্দেক ৪-০-২৭-০)।

আবার মুস্তাফিজের ৫ উইকেট

টানা দুই ম্যাচে পাঁচ উইকেট পেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। মোহাম্মদ আমিরকে কট বিহাইন্ড করে ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো পাঁচ উইকেট নিলেন বাঁহাতি এই পেসার।

অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বল কাট করতে চেয়েছিলেন আমির। ঠিক মতো পারেননি, ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ৬ বলে ৮ রান করেন আমির।  

টানা দুই বলে উইকেট পাওয়া মুস্তাফিজের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেন সরফরাজ আহমেদ। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়া পাকিস্তান অধিনায়ক মাঠে ফিরেছিলেন ইনিংসের শেষ বলটি খেলতে।

মুস্তাফিজের চতুর্থ শিকার ইমাদ

ঝড়ো ব্যাটিং করা ইমাদ ওয়াসিমকে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট নিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।

বাঁহাতি এই পেসারের স্লোয়ার বুঝতে পারেননি ইমাদ। আগেভাগে শট খেলে থার্ড ম্যানে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহর হাতে। ২৬ বলে ছয় চার ও এক ছক্কায় ৪৩ রান করেন ইমাদ।

দুর্দান্ত ফিরতি ক্যাচে শাদাবকে ফেরালেন মুস্তাফিজ

দুর্দান্ত এক ফিরতি ক্যাচ নিয়ে শাদাব খানকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট নিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।

মিডল স্টাম্পে থাকা ফুল লেংথ বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন শাদাব। ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায় ক্যাচ। সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে বল মুঠোয় জমান মুস্তাফিজ।

২ বলে ১ রান করেন শাদাব। ৪৮ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ২৯৫/৭। ক্রিজে ইমাদ ওয়াসিমের সঙ্গী মোহাম্মদ আমির।

সাইফের তৃতীয় শিকার ওয়াহাব

দারুণ এক ইয়র্কারে ওয়াহাব রিয়াজকে বোল্ড করে নিজের তৃতীয় উইকেট নিলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

শেষের দিকে বড় শট খেলার জন্য পরিচিত ওয়াহাব। এদিন তাকে কোনো সুযোগ দেননি সাইফ। দারুণ এক ডেলিভারিতে এলোমেলো করে দেন স্টাম্পস।

৪ বলে ২ রান করে ফিরেন ওয়াহাব। ৪৭ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ২৮৯/৬। ক্রিজে ইমাদ ওয়াসিমের সঙ্গী শাদাব খান।

মাঠ ছাড়লেন সরফরাজ

মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের বলে ইমাদ ওয়াসিমের জোরালো শট লাগে নন স্ট্রাইকার সরফরাজ আহমেদের কনুইয়ের কাছে। কিছুক্ষণ চিকিৎসা নিয়ে খেলা চালিয়ে যান পাকিস্তান অধিনায়ক। তবে সেই ওভার শেষেই মাঠ ছাড়েন এই কিপার-ব্যাটসম্যান। সে সময় তার রান ছিল ২ বলে ২।

৪৫ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ২৬৭/৫। ক্রিজে ইমাদের সঙ্গী ওয়াহাব রিয়াজ।

মুস্তাফিজের শততম উইকেট হারিস

টানা দুই ওভারে উইকেট পেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। হারিস সোহেলকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে স্পর্শ করলেন ওয়ানডেতে একশ উইকেটের মাইলফলক।

বাঁহাতি পেসারের একটু বাড়তি লাফানো বল উড়িয়ে খেলেছিলেন হারিস। বল যায়নি বেশি দূর। ডিপ এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ মুঠোয় জমান সৌম্য সরকার।

৬ বলে ১ চারে ৬ রান করেন হারিস। ৪৪ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ২৫৬/৫। ক্রিজে ইমাদ ওয়াসিমের সঙ্গী সরফরাজ আহমেদ।   

দশম ওভারে উইকেট পেলেন মিরাজ

ম্যাচ জুড়ে দারুণ বোলিং করা মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেট পেলেন নিজের দশম ওভারে। ফিরিয়ে দিলেন দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা মোহাম্মদ হাফিজকে।

অফ স্টাম্পে থাকা ফুল লেংথ বল ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন হাফিজ। টাইমিং করতে পারেননি। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ মুঠোয় জমান সাকিব আল হাসান।

২৫ বলে তিন চারে ২৭ রান করেন হাফিজ। ৪৩ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ২৪৮/৪। ক্রিজে হারিস সোহেলের সঙ্গী ইমাদ ওয়াসিম।  

সেঞ্চুরির পর হিট উইকেট ইমাম

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পরপরই হিট উইকেট হয়ে ফিরে গেলেন ইমাম-উল-হক।

মুস্তাফিজুর রহমানের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৯৯ বলে বিশ্বকাপে প্রথম ও ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমাম। এক বল পর স্ট্রাইক পেয়ে ক্রিজের বেশি গভীরে গিয়ে ফ্লিক করার চেষ্টায় স্টাম্পে লেগে যায় তার পা, পড়ে যায় বেল। ভাঙে ৬৬ রানের জুটি।

১০০ বলে ৭ চারে ১০০ রান করে ফিরেন ইমাম। ৪২ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ২৪৬/৩। ক্রিজে মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গী হারিস সোহেল।

ইমাম-হাফিজ জুটিতে পঞ্চাশ

আস্থার সঙ্গে খেলে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন ইমাম-উল-হক। অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে গড়ে উঠেছে তার জুটি। ৪৭ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছে তৃতীয় উইকেট জুটির রান।

৪০ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ২৩০/২। ইমাম ৯৬ ও হাফিজ ১৪ রানে ব্যাট করছেন।

পাকিস্তানের দুইশ

ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়াচ্ছে পাকিস্তান। ত্রয়োদশ ওভারে পঞ্চাশ ছোঁয়া দলটি রান তিন অঙ্কে নিয়েছিল ২২তম ওভারে। তাদের সংগ্রহ দুইশ ছুঁয়েছে ৩৬তম ওভারে।

৩৬ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ২০৪/২। ইমাম ৭৯ ও মোহাম্মদ হাফিজ ৮ রানে ব্যাট করছেন।

দুই মূল স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান ওভার প্রতি রান দিয়েছেন সাড়ে চারের নিচে। তিন পেসারদের কেউ ওভার প্রতি সাড়ে ছয়ের নিচে রান দেননি।  

৯৬ রানে বাবরকে থামালেন সাইফ

দুবার জীবন পাওয়া বাবর আজম এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। আক্রমণে ফিরে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই তাকে ফিরিয়ে দিলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। 

ডানহাতি এই পেসার প্রথম ৫ বলে দিয়েছিলেন ১৪ রান। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন বাবর। পরের বলটি ছিল ইয়র্কার। ব্যাটে খেলতে পারেননি ডানহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর নিয়েছিলেন রিভিউ। সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি, রিভিউ হারায় পাকিস্তান। ভাঙে ১৫৭ রানের জুটি।

৯৮ বলে ১১ চারে ৯৬ রান করেন বাবর। ৩২ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ১৮০/২। ক্রিজে ইমাম-উল-হকের সঙ্গী মোহাম্মদ হাফিজ। 

ইমামের ফিফটি, আবার বাঁচলেন বাবর

মন্থর শুরুর পর রানের গতি বাড়িয়েছেন ইমাম-উল-হক। তুলে নিয়েছেন বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি। চারটি চারে ৫২ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন বাঁহাতি ওপেনার ইমাম। 

আগের ওভারে বাবর আজমকে জীবন দিয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। এবার তার বলে ক্যাচ ধরতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা বল লাগে তার হাঁটুতে। সে সময় ৬৫ রানে ছিলেন বাবর।

২৭ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ১৩৭/১। বাবর ৬৬ ও ইমাম ৫২ রানে ব্যাট করছেন।

বাবরকে জীবন দিলেন মোসাদ্দেক

দারুণ ছন্দে থাকা বাবর আজমকে ফিরিয়ে দেওয়ার একটি সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেল। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ক্যাচ ছেড়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন।

অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বল কাট করেছিলেন বাবর। ক্যাচ যায় পয়েন্টে। মুঠোয় জমাতে পারেননি মোসাদ্দেক। সে সময় ৫৭ রানে ছিলেন বাবর।

মুস্তাফিজের সেই ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটির রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান ইমাম-উল-হক। ৪৭ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল জুটির রান, একশ হলো ১১২ বলে।

২৬ ওভার শেষে পাকিস্তানে স্কোর ১২৩/১। বাবর ৬০ ও ইমাম ৪৫ রানে ব্যাট করছেন।

আস্থার সঙ্গে খেলে বাবরের ফিফটি

ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে আস্থার সঙ্গে খেলা বাবর তুলে নিয়েছেন ফিফটি। বিশ্বকাপে তৃতীয়, ক্যারিয়ারের পঞ্চদশ।

৬২ বলে চারটি চারে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন বাবর। প্রথম ২৩ ওভারে সাতটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে পাকিস্তান, এর চারটি এসেছে তার ব্যাট থেকে। 

২৩ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ১০৮/১। বাবর ৫৩ ও ইমাম ৩৭ রানে ব্যাট করছেন।

পাকিস্তানের একশ

বাবর আজম ও ইমাম-উল-হকের ব্যাটে এগোচ্ছে পাকিস্তান। দুই তরুণ ২২তম ওভারে দলের রান নিয়ে গেছেন তিন অঙ্কে। ত্রয়োদশ ওভারে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল তাদের স্কোর।

মন্থর শুরুর পর রানের গতিতে বাড়াচ্ছে স্কোর। প্রথম ১০ ওভারে ৩৮ রান করা দলটি পরের ১২ ওভারে তুলেছে ৬৫ রান।   

২২ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ১০৩/১। বাবর ৪৮ ও ইমাম ৩৭ রানে ব্যাট করছেন।

বাবর-ইমাম জুটিতে পঞ্চাশ

ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে আস্থার সঙ্গে খেলছেন বাবর আজম। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে টানছেন ইমাম-উল-হক। দুই তরুণ তৃতীয় উইকেটে গড়েছেন অর্ধশত রানের জুটি।

৪৭ বলে ৫০ স্পর্শ করে জুটির রান। এতে অগ্রণী বাবর। তার ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। ইমামের ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান।  

১৬ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ৭৬/১। বাবর ৩১ ও ইমাম ২৭ রানে ব্যাট করছেন।

পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তান ৩৮/১

প্রথম পাওয়ার প্লেতে ব্যাটসম্যানদের ডানা মেলতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। খুব একটা রান তুলতে না পারা পাকিস্তান এরই মধ্যে হারিয়েছে ফখর জামানের উইকেট।

১০ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ৩৮/১। ইমাম-উল-হক ১১ ও বাবর আজম ১৪ রানে ব্যাট করছেন।  

পাওয়ার প্লেতে তিন বোলার ব্যবহার করেছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২২ রান দিয়ে দলকে একমাত্র উইকেটটি এনে দিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। ৫ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়েছেন দলে ফেরা অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। মুস্তাফিজুর রহমান নিজের একমাত্র ওভারে দেন ৭ রান।    

প্রথম আঘাত সাইফের

ফখর জামানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

শুরু থেকে আঁটসাঁট বোলিংয়ে পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে বেঁধে রেখেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাইফ। রানের জন্য ছটফট করছিলেন ফখর। অফ স্টাম্পের বাইরের বল পয়েন্ট দিয়ে ওড়াতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। টাইমিং করতে পারেননি, ক্যাচ যায় মিরাজের হাতে।

৩১ বলে এক চারে ১৩ রান করেন ফখর। ৮ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ২৮/১। ক্রিজে ইমাম-উল-হকের সঙ্গী বাবর আজম। 

একই একাদশ নিয়ে পাকিস্তান

একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি পাকিস্তান। আফগানিস্তানকে হারানো দলটির ওপর আস্থা রেখেছে তারা।

পাকিস্তান একাদশ: সরফরাজ আহমেদ, বাবর আজম, ফখর জামান, হারিস সোহেল, ইমাদ ওয়াসিম, ইমাম-উল-হক, ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ হাফিজ, শাদাব খান, শাহিন শাহ আফ্রিদি।

একাদশে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ, শঙ্কা কাটিয়ে খেলছেন মুশফিক

চোট কাটিয়ে এক ম্যাচ পর একাদশে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ। নেটে ব্যাটিংয়ের চোট পাওয়া মুশফিকুর রহিম খেলছেন শঙ্কা কাটিয়ে।

টসের সময় বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানান, মাহমুদউল্লাহ ফেরায় একাদশে জায়গা হারিয়েছেন সাব্বির রহমান। পেসার রুবেল হোসেনের জায়গায় ফেরানো হয়েছে অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুস্তাফিজুর রহমান।

টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। টস জিতলে ব্যাটিং নিতেন বলে জানালেন  বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও।

“আমাদের বোলিংয়ে ভালো করতে হবে এবং তাড়া করা সম্ভব এমন একটা স্কোরে তাদের থামাতে হবে।”

জয় দিয়ে শেষের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ

লর্ডসে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটিই এবারের বিশ্বকাপে তাদের শেষ। ক্রিকেটতীর্থে খেলার আনন্দকে বিশ্বকাপ শেষের তৃপ্তিতে রূপ দিতে পারে কেবল পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ই। শুক্রবার খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায়।

লর্ডসে পা রেখে রোমাঞ্চিত দলের ক্রিকেটাররা। এই উপলক্ষ্যকেই তাড়না বানিয়ে দলকে জয়ের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখতে চান বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস।

১৯৯৯ বিশ্বকাপে এই ইংল্যান্ডেই পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ পেয়েছিল প্রথম কোনো টেস্ট দলকে হারানোর অনির্বচনীয় স্বাদ। তবে পাকিস্তানকে আরেকবার হারাতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৬ বছর!

দীর্ঘ সেই খরার পর এসেছে সাফল্যের আনন্দধারা। দুই দলের সবশেষ চার লড়াইয়েই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে পাকিস্তানকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পর বাংলাদেশ জিতেছে গত এশিয়া কাপেও। তাদের সামনে বিশ্বকাপেও ধারাবাহিকতা বয়ে আনার চ্যালেঞ্জ।