অলরাউন্ড নৈপুণ্যে প্রথমবার সেরা ইমাদ

আফগানিস্তানকে কম রানে থামাতে বোলিংয়ে রাখলেন অবদান। ছোট লক্ষ্য পাওয়ার পরও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সেমি-ফাইনালের আশায় লাগতে বসেছিল বড় ধাক্কা। ব্যাট হাতেও নিজেকে মেলে ধরে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুললেন দলকে। দারুণ জয়ে পাকিস্তানকে পয়েন্ট তালিকার চারে নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতলেন ইমাদ ওয়াসিম।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2019, 06:30 PM
Updated : 29 June 2019, 07:45 PM

লিডসের হেডিংলিতে শনিবার পাকিস্তানের ৩ উইকেটের নাটকীয় জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান ওয়াসিমের। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার বোলিংয়ে ৪৮ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে খেলেন অপরাজিত ৪৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস।

ব্যাটে-বলে নিজেকে মেলে ধরে বিশ্বকাপ তো বটেই ওয়ানডেতে নিজের প্রথম ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা ইমাদ জানান, স্পিনাররা বিশাল টার্ন পাওয়ায় ভীষণ কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাদের।

“আমি যখন ব্যাটিংয়ে যাই তখন রশিদ অসাধারণ বোলিং করছিল। সত্যি বলতে কি, আমি তার ডেলিভারি ধরতেই পারছিলাম না। তবে আমরা জানতাম, যদি ৫০ ওভার খেলতে পারি তাহলে আমরা জিতব।”

“গুলবাদিন (নাইব) তাদের একমাত্র বোলার যাকে আমরা লক্ষ্য করতে পারতাম। পিচে বল বিশাল টার্ন করছিল। আপনি যদি স্পিনারের বিপক্ষে ঝুঁকি নিতে যান তাহলে হয়তো আপনার উইকেট হারাবেন।”

জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ৪৬ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। পেসার নাইবের এক ওভার থেকে তিন চারে ১৮ রান নিয়ে সমীকরণ সহজ করে ফেলেন ইমাদ। পরের ওভারে শাদাব খান রান আউট হয়ে গেলে কাজটা আবার কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে ওয়াহাব রিয়াজকে নিয়ে দলকে দারুণ এক জয় এনে দেন তিনি।

এদিন ম্যাচের প্রথম ওভারটি করেন ইমাদ। বোলিংয়ে শুরুতে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না। পরে আক্রমণে ফিরে বিদায় করেন দুই থিতু ব্যাটসম্যানকে। রহমত শাহকে ফিরিয়ে বিশ্বকাপে নেন নিজের প্রথম উইকেট। পরে তুলে নেন ইকরাম আলি খিলের উইকেট।

বোলিংয়ে ভালো করা ইমাদ পরে ব্যাটিংয়ে ছড়ালেন দ্যুতি। তার নৈপুণ্যে সেমি-ফাইনালের সম্ভাবনা একটু উজ্জ্বল হলো পাকিস্তানের।