নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের ৬ উইকেটের জয়ের নায়ক এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ১২৭ বলে ১১ চারে করেন ১০১ রান। বিশ্বকাপে প্রথম ও ওয়ানডেতে সপ্তমবারের মতো জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে বুধবার সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মন্থর হয়ে পড়ছিল উইকেট। স্পিনারদের জন্য বাড়ছিল সহায়তা। এমন উইকেটে দলের জয়কে সঙ্গে নিয়ে ফিরতে পেরে ভীষণ খুশি বাবর।
“এটা আমার সেরা ইনিংস। উইকেট কঠিন ছিল এবং দ্বিতীয় ইনিংসে বল অনেক টার্ন করেছে। পরিকল্পনা ছিল শেষ পর্যন্ত খেলার এবং আমার শতভাগ দেওয়ার।”
“আমরা যখন শুরু করি তখন পরিকল্পনা ছিল, (লকি) ফার্গুসনকে সাবধানে খেলার। কিন্তু যখন (মিচেল) স্যান্টনার এলো, তখন পরিকল্পনা হলো ওকে উইকেট দেওয়া যাবে না। পরে যখন পেসাররা আসবে তখন পুষিয়ে নেওয়া যাবে।”
পরিস্থিতি অনুযায়ী নতুন পরিকল্পনা সাজিয়ে আর সেই অনুযায়ী খেলে বাবর দলকে এনে দিয়েছেন তৃতীয় জয়। ৩৮ রানে দিয়েছিলেন একটি সুযোগ। বাঁহাতি স্পিনার স্যান্টনারের বলে ক্যাচ গ্লাভসে জমাতে পারেননি টম ল্যাথাম।
৬৫ বলে এবারের আসরের তৃতীয় পঞ্চাশ স্পর্শ করেন বাবর। ১২৪ বলে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এই ইনিংস খেলার পথে হাশিম আমলার (৫৭) পর সবচেয়ে দ্রুত তিন হাজার রানের মাইফ ফলকে পৌঁছান তিনি। বাবরের লেগেছে ৬৮ ইনিংস।
মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে ৬৬ ও হারিস সোহেলের সঙ্গে ১২৬ রানের দুটি জুটি উপহার দেওয়া বাবর পাকিস্তানকে নিয়ে গেলেন ষষ্ঠ স্থানে। তাতে খুব ভালোভাবেই সেমি-ফাইনালের দৌড়ে থাকল ১৯৯২ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।