ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা অবশ্য পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে।
ব্রিস্টলে শ্রীলঙ্কার শেষ দুটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেছে। আসরে দলটি তাদের প্রথম দুটি ম্যাচ খেলেছে কার্ডিফের সবুজ উইকেটে। নিউ জিল্যান্ডের কাছে হেরে অভিযান শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করে জিতেছিল এশিয়ার দ্বীপ দেশটি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের পরের ম্যাচটি হবে ওভালে যেখানে এখন পর্যন্ত বড় স্কোরের ম্যাচ দেখা গেছে। অবশ্য দে মেলের বিশ্বাস, এই ম্যাচও তাদের সবুজ পিচে খেলতে হবে। আর এমন পিচে পেসারদের জন্য সুবিধা থাকায় তা অস্ট্রেলিয়াকে সাহায্য করবে বলে ধারণা করা যায়।
ডেইলি নিউজকে তিনি বলেন, “কার্ডিফ ও ব্রিস্টলে এ পর্যন্ত যে চার ম্যাচ আমরা খেলেছি তাতে দেখেছি আইসিসি সবুজ পিচ তৈরি করেছে। একই মাঠে অন্য দেশগুলো খেলেছে বাদামি পিচে যেখানে রান বেশি আসে।”
“শনিবার ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমাদের ম্যাচের জন্য সবুচ পিচ প্রস্তুত করা হয়েছে। .. আইসিসির দিক থেকে এটা খুবই অন্যায্য যে তারা কিছু দলের জন্য এক ধরনের পিচ প্রস্তুত করছে আর অন্যদের জন্য আলাদা।”
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের এই কর্মকর্তার মতে আরও কিছু বিষয়ে সমস্যা আছে। আর বিষয়গুলো তিনি আইসিসির নজরে এনেছেন বলেও জানান।
“এমনকি কার্ডিফে দেওয়া অনুশীলনের সুযোগ সুবিধাও সন্তোষজনক ছিল না। তিন নেটের জায়গায় তারা আমাদের দুটি দিয়েছিল। আর ব্রিস্টলে যে হোটেলে আমাদের রেখেছিল সেখানে সুইমিং পুল ছিল না, যা একটা দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ- বিশেষ করে ফাস্ট বোলারদের জন্য, অনুশীলনের পর তাদের পেশি শিথিল করতে।”
“ব্রিস্টলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দলকে যে হোটেলে রাখা হয়েছিল সেখানে সুইমিং পুল ছিল।”
“এই সব সমস্যা তালিকা করে আমরা চার দিন আগে আইসিসিকে লিখে লিখেছি। তবে এখন পর্যন্ত তাদের থেকে কোনো জবাব পাইনি। জবাব না পাওয়া পর্যন্ত আমরা তাদেরকে লিখতে থাকব।”
এদিকে আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, পিচের বিষয়টা একজন স্বাধীন উপদেষ্টা দেখেন।
টুর্নামেন্টের একজন মুখপাত্র বলেন, “আমরা একজন স্বাধীন পিচ উপদেষ্টা নিয়োগ দেই যিনি আইসিসির সব ইভেন্টে এবং আইসিসি বিশ্বকাপে স্বাগতিক কিউরেটরের সঙ্গে কাজ করেন। ২০১৯ আসরও তার ব্যতিক্রম নয়।”