অলরাউন্ড নৈপুণ্যে উজ্জ্বল হাফিজ

একের পর এক হারে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল পাকিস্তান। দলকে কক্ষপথে ফেরাতে জ্বলে উঠলেন মোহাম্মদ হাফিজ। ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে নিজেকে মেলে ধরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে রাখলেন সবচেয়ে বড় অবদান। জিতে নিলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 June 2019, 07:57 PM
Updated : 3 June 2019, 07:57 PM

চোটের জন্য গত বিশ্বকাপে খেলা হয়নি হাফিজের। পিএসএলে খেলার সময় চোট পাওয়ায় এবারের আসরেও ৩৮ বছর বয়সী অলরাউন্ডারের খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল। চোটের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতেছেন, এবার মাঠের লড়াইয়ে পথ দেখালেন দলকে।

টানা ১১ ম্যাচ হারার পর জয়ের দেখা পেল পাকিস্তান। নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে সোমবার ইংল্যান্ডকে ২১ রানে হারিয়ে এবারের আসরে পেল নিজেদের প্রথম জয়।

২১তম ওভারে ক্রিজে আসেন হাফিজ। উইকেট ধরে রাখার সঙ্গে রানের গতিতে দম দেওয়ার কঠিন দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। বাবর আজম ও সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে উপহার দিয়েছেন দুটি পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি। খেলেছেন ৬২ বলে আট চার ও দুই ছক্কায় ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। পাকিস্তান গড়ে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

চার বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলায় পঞ্চম বোলার হিসেবে হাফিজ ও শোয়েব মালিকের ওপর নির্ভর করেছিল পাকিস্তান। ৭ ওভার বোলিং করে ৪৩ রান দিয়ে হাফিজ নেন মর্গ্যানের উইকেট।  ফিল্ডিংয়ে নেন সেঞ্চুরিয়ান জো রুটের ক্যাচ। উজ্জ্বল ছিলেন গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়েও।

ওয়ানডেতে এনিয়ে ১৯বার ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতলেন হাফিজ। পাকিস্তানের বর্তমান দলে তার চেয়ে বেশি ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেনি আর কেউ।