নিউ জিল্যান্ড সফর থেকে ফিরে বিশ্রামে ছিলেন তামিম। বিশ্বকাপের ঠিকঠাক প্রস্তুতির জন্য আগেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন শীর্ষ লিগ থেকে। গত ১৪ এপ্রিল নিজে ব্যাটিং অনুশীলন শুরু করেন দেশসেরা ওপেনার। ২২ এপ্রিল প্রধান কোচের তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া ক্যাম্পের শুরু থেকেই আছেন তিনি।
এর মাঝে স্কিল অনুশীলন সেভাবে করেননি তামিম। তবে প্রচুর কাজ করেছেন ফিটনেস নিয়ে। নিজেকে ভালো একটা শেপে রেখেছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যাটিং ভরসা। বিশ্বকাপের জন্য শিষ্যর প্রস্তুতি পর্ব মুগ্ধ করেছে রোডসকে।
“তামিম অসাধারণ এক উদাহরণ। আমার মনে হয় তামিম দারুণ একজন পেশাদার। সে জানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাটসম্যান হিসেবে সফল হতে হলে তার কী করতে হবে। সে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে না খেলে ৩-৪ সপ্তাহ বিশ্রাম নিয়েছে। কারণ, সে জানে এই টুর্নামেন্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সে জানে ফ্রেশ থাকাটা কত জরুরি।”
গত বিশ্বকাপের আগে তামিমকে লড়াই করতে হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে লক্ষ্য করে চলা প্রবল সমালোচনার সঙ্গে। কঠিন সে সময়ে তাকে আগলে রেখেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। রোডস মনে করেন, এবারও কোনো ক্রিকেটার এমন পরিস্থিতিতে পড়লে তাকে আগলে রাখবেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা।
অন্যদের সহায়তা ছিল, তবে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার কাজটা করতে হয়েছিল তামিমকেই। যেভাবে বাঁহাতি এই ওপেনার দুঃসময় কাটিয়ে উঠেছেন সেটাও রোডসের কাছে উদাহরণ।
“সে খুব ভালো একটা অবস্থায় আছে। সে সেই ধরনের মানুষ, চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রে যাদের ওপর আমি নির্ভর করি। আমি সব সময়ই তামিমের মতামতের ব্যাপারে আগ্রহী। তার প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে। সে বিস্ময়কর একজন খেলোয়াড় ও খুব ভালো একজন পেশাদার।”